গাংনীর চরগোয়াল গ্রামে স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী শ্যালককে কুপিয়ে জখম

এতদিন পান চুন খসলেই নিজ স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করতো পাষন্ড স্বামী। এবার স্ত্রীর সাথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিবন্ধী শ্যালক আমিরুল ইসলাম (২২) কে। আহত আমিরুল ইসলাম বর্তমানে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের মালিথাপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।

শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে প্রতিবন্ধী আমিরুল ইসলাম তার বোন রুনা খাতুনকে একই গ্রামে তার দুলাভাই ইয়ারুল ইসলামের বাড়িতে রাখতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আমিরুলের বাবা মজিবুর রহমান জানান, আমার একমাত্র মেয়ে রুনা খাতুনকে একই গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছে প্রায় ৬ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। আমি তার দাবীর কারণে শেষ সম্বল মাত্র দু কাঠা জমি বিক্রি করে তাকে তুলে দিয়ছি। তারপরেও তার কাছে আমার মেয়ে ভাল হতে পারেনি। আমার প্রতিবন্ধী ছেলে মেয়ের সাথে জামাই বাড়ি গেলে জামাই ইয়ারুল ইসলাম তাকে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নিই।

গাংনী উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত স্যাকমো শরীফুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী আমিরুল ইসলামের ডান হাত কেটে গেছে। হ্মতস্থানে কয়েকটি শেলাই হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে আমিরুল। এদিকে রুনার পিতা মজিবুর রহমান জানান, জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ছেলেকে রক্তাক্ত ও মেয়েকে নির্যাতনের জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।