গাংনীর ডাবলু হত্যা মামলার ৫ আসামী রিমান্ডে, তিনটি হত্যা মামলায় তদন্ত ওসি’র সাফল্য

গাংনীর সাহেব নগর গ্রামের ডাবলু হত্যা মামলার ৫ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে গাংনী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার এদেরকে মেহেরপুর কারাগার থেকে গাংনী থানায় নিয়ে আসা হয়। এরা হচ্ছেন-সাহেব নগর গ্রামের হাবিবুৃর রহমান,কাজিপুর গ্রামের তারিক,সাহেবনগর গ্রামের সেলিম,আমজাদ ও মন্জুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে এদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) ও মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম জানান,১৭/০৫/২০২০ ইং তারিখে গাংনী উপজেলার সাহেব নগর গ্রামের একটি লিচু বাগান দখলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে ডাবলু খুন হয়। এঘটনায় ডাবলুর মা ইসলামা খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৬। মামলার অন্যানন্য আসামীদের ইতোপুর্বে রিমান্ড নেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই পাঁচ আসামী আদালতে আত্ন সমর্পন করেন। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে সন্দেহে আসামীদের সাত দিনের রিমান্ড আাবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। বিজ্ঞ আদালত তদন্তকর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামীদের তিন দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।

অপরদিকে গাংনী থানার তদন্ত ওসি সাজেদুল ইসলামের কাছে তিনটি চাঞ্চল্যকর তিন টি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার পুবক আদালতে প্রেরন করা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি মামলার বিজ্ঞ আদালতের কাছে পুলিশ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে গাংনীর মহিষা খোলা গ্রামের আফরোজা হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে সাজেদুল ইসলাম আসামী মুলায়েম হোসেন কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ২৪/১২ ২০১৯ তারিখে আফরোজা খাতুন হত্যা মামলা দায়ের করে তার ভাই সাহারুল ইসলাম। মামলা নং ২।

এছাড়াও ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ওমর আলী হত্যা মামলা দায়ের করা হয় এমমলায় ৪ জনকে আসামী করে হলে তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ১৫/০৪/২০২০ সালের চম্পা খাতুন হত্যা মামলার আসামী জুয়েল রানা কে গ্রেফতার করা হয়। জুয়েল রানা নিজ বাড়িতে ডাকাতির নাটক করে নিজ স্ত্রী চম্পা খাতুন কে হত্যা করে। যার মামলা নং ১১। গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমুড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের গাঁজা বাগানে অভিযান চালিয়ে ১৯৫ টি গাঁজা গাছ জব্দ করে গাংনী থানা পুলিশ। এঘটনায় দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী শেফালী খাতুনকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যার মামলা নং-৩২। ইতোমধ্যে এমামলার প্রলিশ প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতের কাছে প্রেরণ কার হয়েছে। উল্লেখিত মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তদন্ত ওসি সাজেদুল ইসলাম।