গাংনীতে সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ মাকে আটকে রাখার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহগলপুরে মেয়ের বাড়ি থেকে ৩০দিন পর বৃদ্ধ মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার বড় মেয়ে সাগরিকা এবং ছোট মেয়ে রাজিয়া খাতুনের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে ধলা ক্যাম্পের পুলিশ।

এ বিষয়ে বৃদ্ধ মহিলা সুফিয়া খাতুনের সাথে জানাতে চাইলে তিনি জানান, আমার নামে ৪ বিঘা জমি আছে। কিন্তু আমার বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে অনেক দিন ধরে জমি তাদের দিয়ে দিতে বলে। আমি জমি দিতে রাজি না হওয়াই জোর করে আমাকে বড় মেয়ের বাড়িতে আটকে রাখে। প্রায় ৩০ দিন যাবত আমাকে আটকে রাখা হয়। আমি বাড়ি যেতে চাইলে আমার ছোট মেয়ে আমাকে অনেক মানষিক নির্যাতন করে আর বলে আমাদের দুই বোনকে ৪ বিঘা বিঘা জমি লিখে না দিলে আমার হাতেই তোর মৃত্যু হবে। পরে আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন আমাকে নিতে আসলে আমার মেয়েরা আমার ছেলেকে জোরপূর্বক বাধা দেয়।

স্থানীয়রা এ বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের টু আইসি এ এস আই রেজোয়ান আহম্মেদ কে ফোন করে। ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে জনগনের সহয়তা নিয়ে বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করে। এসময় ছেলে আলাউদ্দিন কাছে তার মাকে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে ধলা ক্যাম্পের আইসি টু রেজোয়ান আহম্মেদ জানান, আমার কাছে যখন ফোন আসলো সহগলপুরে বৃদ্ধকে আটকিয়ে রেখেছে। এটা শুনে সাথে সাথে ঘটনা স্থলে আসি এবং স্থানীয়দের সাথে করে তাকে উদ্ধার করি। সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ধলা ক্যাম্প প্রস্তুত তাই আপনাদের যে কোন সমস্যা হলে আমাদের জানাবেন। আমরা আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। এ ছাড়াও আপনারা জানেন আমাদের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হয়েছেন। তিনিও সব বিষয়ে আইনি সেবা দিতে প্রস্তুত। সেই সাথে আমার গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমানও সবসময় প্রস্তুত।