গাংনীর সার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এফএমজি ট্রেডার্স এর স্বাত্তাধীকারি নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে অপর এক ব্যবসায়ী একরামুল। সার কেনা বাবদ ২৬ লাখ টাকা জামানকে দিয়ে পথে বসেছে ব্যবসায়ী একরামুল। টাকা দেওয়ার তিন বছর পার হলেও সার বা টাকা কোন কিছুই ফেরত দেয়নি জামান। গাংনী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত আজিম উদ্দিন শেখ এর ছেলে নুরুজ্জামান।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একরামুল সদর উপজেলার রামদাসপুর গ্রামের মৃত একতার আলীর ছেলে। তিনি জানান, ২০১৭ সালে ২৩ মে, ৪ হাজার বস্তা বেঙ্গল মিশ্র সার কেনার জন্য ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা আমি নুরুজ্জামানকে দিই। নুরুজ্জামানের ভাই কামালের নামে ব্যাংক চেকটি ইস্যু করি। ঐ দিন কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার ঘরে বসে তার উপস্থিতিতে জামান ও কামালের হাতে চেকটি তুলে দিই। দুইদিন পর ২৫ মে , আরও ৬ লাখ টাকা নুরুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দিয়ে আসি। কিন্ত পরবর্তিতে সার না দিয়ে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। চাপাচাপি করে ৪শ বস্তার মতো সার পেয়েছি, যার মূল্য ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বাকি টাকার সার চাইলে সে না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়।
নুরুজ্জামানের মেঝোভাই ব্যবসায়ীক পার্টনার কামাল টাকা নেওয়ার কথাটি স্বিকার করে জানান, আমি ২৩ মে, মিজানুর রহামান রানার উপস্থিতিতে চেকটি নিয়ে আসি। পরে সেটি ক্যাশ করে ভায়ের কাছে দিই।

এ বিষয়ে কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, একরামুল ব্যবসায়ীক কাজে নুরুজ্জামানের কাছে টাকাটা দেয়। কামালের নামে চেক ইস্যু করে। চেকটি দেওয়ার সময় আমি উপিস্থিত ছিলাম।

এফএমজি ট্রেডার্সের স্বত্তাধীকারি নুরুজ্জামান জানান, আমাকে চেকটি দিয়েছে রানা। আমি রানার কাছে বেশ কিছু টাকা পাবো। সে হিসেবে চেকের ২০ লাখ টাকা রানার নামে খাতায় জমা করেছি।