গাংনীর সাহারবাটি স্বেচ্চায় রক্তদান সংগঠনের এক যুগে পদার্পণ

“মানুষ মানুষের জন্য,জীবন-জীবনের জন্য’। মনব সেবায় জীবন বিলিয়ে দিলে পাওয়া যায় সৃষ্টি কর্তার সান্নিধ্য। বিভিন্ন বয়সের মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন এমন আবেদন প্রায়ই চোখে পড়ে। চোখে পড়ে একজন মূমূর্ষ রোগীকে বাঁচাতে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। চাহিদা দিয়ে রোগীর স্বজনেরা ছুটে বেড়ায় অনেকের দ্বারেদ্বারে। অনেকেই রক্তের জোগাড় না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন।

এমন মানবিক সেবার ব্রত নিয়ে গাংনী উপজেলার সাহারকবাটি গ্রামে কতিপয় যুবক “সাহারবাটি স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন” নামে একটি সংগঠন গঠন করেন।

স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি সাহারবাটি গ্রামের যুবক রাকিবুল ইসলাম টুটুল এর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে। নানা প্রতিকুলতা, বাধাঁ পেরিয়ে সম্প্রতি ১২ বছরে পদার্পণ করেছে। রক্তের জন্য এলাকার মানুষকে আর পেরেশান হতে হয়না। সম্পূর্ণ বিনা খরচে রক্ত পেয়ে থাকেন ভুক্তভোগীরা। প্রত্যন্তাঞ্চলে এমন একটি সংগঠন গঠন করায় এলকার অসংখ্য মানুষ উপকার পেয়ে প্রসংসা দিয়েছেন রক্তদানকারী যুবকদের।

সংগঠনের ১২ বছর পর্দাণে বিভিন্ন মহল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন যুবক প্রথমে সংগঠনের সদস্য হয়ে রক্ত দান কার্যক্রমের মত গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করলে তাদের দেখাদেখি এবং সংঠনের সভাপিত রাকিবুল ইসলামের আহব্বানে অনেক যুবক এখানকার সদস্য হয়েছেন। সদস্যরা নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলকার অনেক উপকারভোগীরা জানান, সাহারবাটি স্বেচ্ছায় রক্তদার সংগঠন মানুষেল কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে। এমনই ভাবে প্রতিটি এলাকার যুবকরা রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠুক। এক ব্যাগ রক্ত বাঁচাতে সাহায্য করবে একটি জীবন।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল সকল সদস্যকে নিয়ে সংগঠনটির বর্ষপুর্তী অনুষ্ঠান উদযাপন।

অনুষ্ঠানে জানান, ২০০৯ সালে সংগঠনের যাত্রাশুরু। এ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ব্যাগ রক্ত দিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে সহযোগীতা করা হয়েছে। অনেক গরীব অসহায় পরিবার রয়েছেন যারা রক্ত নেবার জন্য ব্যাগ ক্রয়ের টাকা জোগাড় করতে পারেনি, নিশ্বার্থভাবে তাদের নিজ অর্থে ব্যাগ সরবরাহ করেছেন সংগঠনের সভাপতি।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভালকাজ করলেও সংগঠনটি কতিপয় মানুষের রোষানলে পড়ে। সংগঠনের বিভিন্ন ছেলেদের নানাভাবে হয়রানী করা হয়। নানা প্রতিকুলতার মোকাবিলা করেও টিকে আছে সাংগঠনিক অবকাঠামো। টিকে আছে স্বেচ্ছায় রক্তদানের সকল কার্যক্রম। যারা মানবসেবাই নিয়োজিত রয়েছেন তাদের জন্য সকলের সহযোগীতা আর দোয়া কামনা করেন তিনি।