গাংনীর সাহারবাটীতে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব পালিত
গাংনীর সাহারবাটীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দঘন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩১ উদযাপিত করা হয়েছে। বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের উদ্যোগে ১৪৩১ সন উদযাপন পরিষদ সাহারবাটী এর আয়োজনে সাহারবাটী ইউথ ক্লাব প্রাঙ্গণে এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ আসনে সংসদ সদস্য ডা. এ এস এম নাজমুল হক সাগর।
দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত রফিকুল রশিদ ও মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।
মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল মুর্শেদ অতুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মদ আলী, গাংনী উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম, সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান,কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হুদা, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সাকলায়েন, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুর রহমান কমল, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান ও গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।
এছাড়াও এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গণি ও সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্বাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা পরে সেখানে ঐতিহ্যবাহী চিরা,মুরকি, দই খাওয়ার ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলের আয়োজন করা হয়।
এর আগে একটা শোভাযাত্রা বের করা করা।শোভাযাত্রাটি সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।