গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ২য় বারের মত বিয়ের পিঁড়িতে

পরকীয়া করতে গিয়ে বে-রসিক জনতার হাতে ধরা খেয়ে অবশেষে বিয়ের পিড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসিমিন। দীর্ঘদিনের মেলামেশা স্থানীয়দের সন্দেহ মনে হলে এক যুবককে ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে ঢুকতে দেখে স্থানীয় জনতা প্রেমিক যুগলকে ঘরবন্দি করে রাখেন। পরে স্থানীয় জন-প্রতনিধিদের সমঝোতায় অবশেষে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ওই যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গাংনী পৌর এলকার একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও গাংনী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ফারহানা ইয়াসমিন। স্বামী সাহাবুদ্দিন ৫/৬ মাস আগে মারা যায়। স্বামী সাহাবুদ্দিন বেঁচে থাকতেই মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুরের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ছানোয়ান হোসেন সবুজ নামের এক যুবক তার বাড়িতে যাওয়া আসা করেন। প্রতিবেশিরা তাদের অবাধ মেলামেশা সন্দেহ করতে থাকেন।

স্থানীয়রা কেউ জিজ্ঞেস করতে ভাই পরিচয় দিতেন ফারহানা ইয়াসমিন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় যুবক মোটর সাইকেলে ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই সময় চিৎকার করে মানুষ জড়ো করেন। একপর্যায়ে গাংনী থানা পুলিশকে খর দেয় এলকাবাসি।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে আসেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত জনতা ফারহানার বাড়িতে ভিড় জমায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ঘটনা স্থলে আসেন। ফারহান প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয়দের বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন এবং বলেন যুবক সবুজ তার ভাই হন,তার নামে মিথ্যা অপবাদ চাপানো হচ্ছে। পরে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোন যাচাই করে অনৈকিত কথাবার্তার নমুনা পায় পুলিশ। একই সাথে দু’জনের মধ্যেকার ছবি বিনিময় করা হয়, যে ছবি দেখে পরিকীয়ার বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে। যুবক সবুজের পরিবারের লোজন ঘটনা স্থলে পৌছালে উভয়ের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের পরকীয়া ও বিয়ের বিষয়টি টপ অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

গাংনী উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহানা ইসলাম শান্তনা বলেন, ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়টি শুনেছেন তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা জেলার নেতৃবৃন্দরা দেখবেন।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, যেহেতু তাদের মাথে মন দেয়া নেয়ার সম্পর্ক রযেছে সেহেতু তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই তাদের বিয়ে হয়েছে।
গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ফারহানা ইয়াসমিন যেহেতু অভিভাবক হারা হয়ে পড়েছিলেন তা ছাড়া স্থানীয় জনগন তার বিরুদ্ধে অনেক নোংরা কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছিল এমনকি দুজনের মোবাই ফোনে যা দেখলাম তাতে তাদের বিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় খুজে পেলামনা।