গাংনী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আহম্মেদ আলী

মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে সরকার দলীয় (নৌকা প্রতিক) প্রার্থী আহম্মেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাগ মার্কা) আশরাফুল ইসলাম. পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট। এদিকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ এনে দুপুরে বিএনপির প্রার্থীসহ চার প্রার্থী বর্জণ করেছেন। শনিবার দুপুরে এরা নির্বাচন বর্জন করেন।

বর্জণকারী প্রার্থীরা হচ্ছেন- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আছাদুজ্জামান বাবলু, স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম , ও ইশা আন্দোলনের আবু হুরাইরা।
গাংনী পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন ও কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন। ৯ টি কেন্দ্রের ৬১ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ৩৫৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৭৬০ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯১৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচন বর্জনকারীরা জানান, ভোট কেন্দ্রে ও আশ পাশ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন থাকলেও সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয়। নৌকা প্রার্থীর ভোটারগণ ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোট দিলেও অন্যান্য প্রার্থীর সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন নি । বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয়া হয়েছে। আবার ভোট কেন্দ্রে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পোলিং অফিসার সরকার দলীয় প্রার্থীর নৌকা মার্কাতে ভোট দেন। প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বার বার অভিযোগ দিয়েও তাতে কোন কাজ হয়নি। ইভিএম যে কারচুপি করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গাংনী পৌরসভা নির্বাচন। উদ্ধর্তন কোন শক্তির ইন্ধনে এ কারচুপি করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

অপরদিকে সরকার দলীয় প্রাথী(নৌকা প্রতীক) আহমেদ আলী বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেিেন। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করছেন।

জেলা রিটার্ণিং অফিসার আহমেদ আলী জানান, কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। একটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।