গাংনী বিএনপির আলোচনা সভাতে ছাত্রলীগের হামলা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভাতে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে আসতে থাকেন মহিলা দলের বিভিন্ন এলাকার নেতার্কীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। সমাবেশ শুরুর মুর্হূতে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টুসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তারা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে সমাবেশ বাতিলের দাবি জানান।

এসময় বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন কেউ। এ নিয়ে উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ের গেটে লাথি দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিরাপদে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের বাধার তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, আমারা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ঘরোয়া সমাবেশের আয়োজনও যদি না করতে পারি তাহলে এ দেশে মানুষের স্বাধীনতা কোথায়। এভাবে বাধা দিলে তার চরম মূল্য দিতে হবে বলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি হুশিয়ারী করেন তিনি।

জেলা মহিলা দলে সাধারন সম্পাদক লাইলা আরজুমান বানু বলেন, কার্যালয়ের মধ্যে আলোচনা সভাতে এভাবে ছাত্রলীগ হামলা রাজনীতির অশুভ শক্তিকে আহবান করছে। এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাচাতে হলে একমাত্র পথ হচ্ছে কঠোর আন্দোলন। বিএনপি কঠোর আন্দোলনের পথেই যাচ্ছে। মানুষ সরকারের উপরে চরম ক্ষিপ্ত। ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের একটি নেতাও দেশে পাওয়া যাবে না।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিক্কার আলী, জেলা মহিলা দলে সাধারন সম্পাদক লাইলা আরজুমান বানু, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষোভ শেষ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গাংনী বাস স্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন, জিয়াউর রহমান খুনী। এদেশে একজন খুনির জন্মদিন পালন করতে দেওয়া হবে না। বিএনপি নেতার্কীরা তাদের ঘরে বসে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে ছাত্রলীগ সব সময় মাঠে রয়েছে।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত জানিয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপি ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা বের হয়ে গেছেন। উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকার জন্য বলা হয়েছে।