গাংনী মেয়র আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলীকে নব্য এরশাদ শিকদার আখ্যায়িত করলেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো: শাহিদুজ্জামান শিপু।

শাহিদুজ্জামান শিপু তার নিজ ফেইসবুক পেইজে গাংনী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানির পাইপ লাইনের নামে রাস্তা খুঁড়াখুড়ির মাধ্যমে জনদুর্ভোগের তুলে ধরেছিলেন। এনিয়ে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী আমাকে উদ্দেশ্যে করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।

এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব অভিযোগ করেন।

এসময় গাংনী বাজার কমিটির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: রফিক, সাবেক ছাত্রনেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জলহ ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শাহিদুজ্জামান শিপু অভিযোগ করেন, আমি মেয়র প্রার্থী ছিলাম বলে মেয়র আহম্মেদ আলী আমার বাড়ির সামনের রাস্তা খুড়াখুড়ি করেছে, রাস্তার লাইট পর্যন্ত কেটে দিয়েছেন। গাংনী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দূর্ভোগ প্রাকৃতিক নয়, এটি মানুষ্য সৃষ্টি দূর্ভোগ।

তিনি বলেন, স্থানীয় মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকাতে পৌরসভার দূর্ভোগ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মেয়র আহম্মেদ আলীর পৌরসভার উন্নয়ন নিয়ে তার ভাবনা বাদ দিয়ে মানুষের কষ্টের কথাগেুলো না বলে সে সরাসরি আমার নামে বিদ্রুপ মন্তব্য করেন। আমাকে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ও সুদ কারবারী বলেছেন।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন ক্যাসিনো ব্যবসার জন্য বোর্ডসহ অন্যান্য সরঞ্জাম লাগে। আমার এখানে কি এ ধরণের কোনো সরঞ্জাম আছে?

তিনি মেয়র আহম্মেদ আলীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন ক্যাসিনো এবং সুদ নিয়ে আপনার কাছে প্রমাণপত্র থাকলে সরাসরি আমার মুখোমুখি হন।

শিপু বলেন আমি সিগারেট না খেলেও মেয়র আহম্মেদ আলী, আমাকে মাদক সম্রাট, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী বানিয়ে মাঝে মাঝে দরখাস্ত করেন। তিনি প্রশ্ন করেন উনি (মেয়র আহম্মেদ)আমাকে কি পেয়েছেন ?

শাহিদুজ্জামান শিপু অভিযোগ করেন মালশাদহ গ্রামের বদিকে দিয়ে বাজারে চাঁদা তুলে আবার তাকে গুম হত্যা ঘটিয়ে অন্যের বিরুদ্ধে মামলা চাপিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এলাঙ্গীর বীলে তার হাঁসের খামার ছিল।প্রাকৃতিক দূর্যাগে তার হাঁস মারা গিয়েছিল।যার জন্য তিনি সরকারি বিভিন্ন দফতর ও জাতীয় সংসদ সদস্যের কাছে অনুদানের আবেদন করেছিলেন। অথচ, তিনি মেয়র হওয়ার সাথে সাথে কি এমন আলাউদ্দীনের চেরাগ হাতে পেলেন চার চাকার গাড়ি পেয়ে গেলেন। প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শিপু বলেন. আহম্মেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর গাংনী পৌরবাসি নয়, কয়েকটি পরিবারের উন্নতি হয়েছে। আর সাংগাঠনিকভাবে উন্নতি হয়েছে মালশাদহ গ্রামের বিএনপি নেতা ময়না হার্ডওয়্যারের মালিক জিয়ার।

তিনি বলেন, পৌরবাসির দূর্ভোগের বিষটি তিনি না দেখে ব্যাক্তি শিপুর উপর আঘাত হানছেন। তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমাকে আঘাত দিলে আপনার (মেয়র) এমন কোনো খুটি নাটি বিষয় নাই যা আমার কাছে নেই।আপনার এ্যাবিডেন্স আমরা পাবলিক করলে মুখ দেখাতে পারবেন না।

তিনি গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠের কথা তুলে ধরে বলেন ফুটবল মাঠের মাটিতে এখন শামুক চরছে। এই শামুক থাকা পর্যন্ত মাঠ ভাল হবেনা।

তিনি বলেন, গাংনী পৌরসভার উন্নয়ন কাজের কে ঠিকাদার এখন পর্যন্ত কেউ জানেনা। অথচ তার কাছে চাঁদা চাওয়ার প্রশ্ন মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। আমার কাছে কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী থাকেনা। মেয়র আহম্মেদ আপনি জোড়া হত্যা মামলার আসামি ও চাঁদাবাজ পুঁষে রাখেন।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে খুলনার এরশাদ শিকদারের মত গাংনীতে আরেকটি নতুন এরশাদ তৈরী হয়েছে। অথচ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অত্যন্ত ভদ্র ও সৎ মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর কানে বিষয়টি গেলে তিনি এবিষয়ে ভূমিকা নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি মেয়র আহম্মেদের এ ধরণের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান।