গোপনে বিয়ে করেছেন নোবেল, তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন নিকেতনে!

মাইনুল হাসান নোবেল। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে গেছেন। কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কিন্তু আলোচনার শুরু থেকে যেমন দুই বাংলার পছন্দের তালিকায় ছিলেন তেমনি একটা শ্রেণি তার নানা সময়ের ‘আচরণে’ অসন্তোষ প্রকাশ করে।

সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নানা রকম বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে নতুন বিতর্কে জড়ান এই সংগীত শিল্পী। তবে সে সবকে ছাপিয়ে গেল নতুন খবরে, জানা গেল ৭ মাস আগে করেছেন বিয়ে; কনের নাম মেহরুবা সালসাবিল। স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রাজধানীর নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে। বিয়ের কাবিননামা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে, এছাড়াও নোবেলের ফ্ল্যাটে যাতায়াতকারী একজন বন্ধু নিশ্চিত করেছেন নোবেল-সালসাবিলের একত্রে বসবাসের বিষয়টি।

বিয়ের ঘটনা বরাবরই আনন্দের। কিন্তু নোবেলের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু অন্যরকম। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে সালসাবিল নোবেলের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে রিমি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। রিমিই ডিভোর্স দিয়েছিলেন নোবেলকে। এরপর এক আত্নীয়কে বিয়ে করেন, সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়। এর কারণ কী হতে পারে? সোশ্যাল একটিভিস্ট অমি রহমান পিয়ালের একটি পোস্ট থেকে জানা যায় নোবেল তার স্ত্রীকে মারধর করেন। বর্তমান স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলকে তিনবেলাই মারধর করেন বলে পিয়াল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন।
পিয়াল লিখেছেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সে নিজের মা-বোনরে রাত একটার সময় ঘর থেকে বের করে দিছে রাস্তায়। পরে পুলিশ আইসা সামাল দিছে। এইটা তো তার নিজের মা-বোন, কিন্তু যে মেয়েটা তার জন্য ঘর ছাড়লো তার কি অবস্থা? জি বাংলার সেলিব্রেটির প্রেমে সে পরিবারের কাছে ত্যাজ্য হইয়া আসলো। তারে নিয়ম কইরা তিন বেলা পিটায় আমাদের সুপারস্টার সিঙ্গার। একদম মানুষ যেমন তিন বেলা খাবার খায়, আমাগো গায়ক তিন বেলা তার বউ পিটায় তার ত্যাগের সম্মানে।

নোবেল যদিও নানা বিষয়ে বিতর্কিত ছিলেন, তবুও বড় তীরটা ছোঁড়েন জাতীয় ‘সংগীত পরিবর্তন’ এর মত দিয়ে। এরপর প্রেমিকা কর্তৃক নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়া নিয়েও নোবেলকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিলো নোবেলের বিরুদ্ধে। অবশ্য এ বিষয়ে মামলা হয়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীদের ‘হেয়’ করে মন্তব্য করেন নোবেল। পরে এ নিয়ে বিভিন্নজনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। র‍্যাবও তাকে ডেকে নেয়। যেখানে তিনি বলেন, নিজের আসন্ন গান ‘তামাশা’র প্রচারে এমনটা করেছেন। এ যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে র‍্যাবের কাছে লিখিত দিয়ে আসেন তিনি।

সূত্র : কালের কণ্ঠ।