চার হাত এক করায় কাজ গনি ঘটকের

এলাকার তিনশ ছেলে মেয়েকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন আব্দুল গনি। যে মাধ্যমকে আমরা আঞ্চলিক ভাবে ঘটক বলে থাকি। আব্দুল গনি মেহেরপুরের জেলার গাংনী উপজেলার ষোল টাকা গ্রামের মৃত সমেশ আলী জোয়াদ্দার এর বড় ছেলে।

তিনি প্রায় পচিশ বৎসর যাবৎ ঘটক তালি পেশায় নিয়োজিত আছেন। বিয়ে দিয়েছেন ডাক্তার, শিক্ষক, পুলিশ অফিসার ,ইঞ্জিনিয়ার ও বিভিন্ন সরকারি দপÍরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার ছেলে মেয়েদের।

আব্দুল গনি বলেন- মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে এ যাবৎ পর্যন্ত প্রায় তিনশ জন মুসলিম ছেলেমেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেছি। এসব ছেলেমেয়েদের মধ্যে নব্বই ভাগই উচ্চশিক্ষিত।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল গনির ঘটকতালিতে আশে পাশের অনেক গ্রামের বহু যুবক-যুবতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাহার বিবাহ সম্পন্ন নব দম্পতি নিরানব্বই ভাগই সুখে সংসার জীবনে আবদ্ধ রয়েছে। আব্দুল গনি ঘটকের দেয়া বিবাহ জীবনে, নব দম্পতির সংসারে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে এমন কোনো তথ্য আমরা পাই নাই।

দৌলতপুর উপজেলার শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন- আমার মেয়ে একজন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার। তার বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান করছিলাম। তখন আমি পরিচিত লোকের মাধ্যমে আব্দুল গনি ঘটকের মোবাইল নাম্বার পাই।

তারপর তার সাথে যোগাযোগ করে আব্দুল গনি ঘটকের মাধ্যমে আমার মেয়ের সাথে গাংনী উপজেলার বামন্দি গ্রামে গনি বিশ্বাসের ছেলে জুয়েল রানা পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বর্তমানে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখেই চলছে ।
ষোল টাকা গ্রামের ইউপি সদস্য ময়নাল হক বলেন, আমি অনেক দিন থেকে গনিকে ঘটক তালি করিতে দেখছি।

আমার জানা মতে এলাকার শত শত ছেলে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তার আর কোন কাজ নেই সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘটকতালি করে বেড়ান।

বামন্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল বিশ্বাস বলেন, আব্দুল গনি ঘটক অনেক ভালো মানুষ। আমার পরিবারের অনেক বিবাহ দিয়েছেন । এই কাজের জন্য তার কোন টাকা দাবি থাকে না । ছেলে পক্ষ – মেয়ে পক্ষ খুশি হয়ে যা দেন তাই নিয়ে থাকেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি