চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

৫ই আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালে সাহেবের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলের পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া সংগঠক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম।এ সময় তিনি বলেন,
হৃদয়বিদারক ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট:
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা। সে উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ চলমান ছিল। শেখ কামাল কয়েকদিন ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই ব্রিগেড ১লা আগস্ট থেকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মহড়া শুরু করে। ১৪ই আগস্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা লেডিস ক্লাবে নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক অংশগ্রহণের পর রাতে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগ্রেডের সদস্যদের সঙ্গে মত-বিনিময় করেন। তিনি মধ্যরাতে বাসায় যাওয়ার সময় বলে যান- তিনি খুব সকালেই চলে আসবেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোররাতে কিছু বিপথগামী সৈন্য বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণ করলে তাদের গুলিতে দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং আর্তচিৎকার করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে শেখ কামাল দ্বিতীয় তলা থেকে নীচ তলার অভ্যর্থনা কক্ষে পৌঁছামাত্র প্রথমেই তাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে এক মহা-দুর্যোগ নেমে আসে। একে একে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের ১৮জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বীর মুুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামাল রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষানবীশ সহকারি পুলিশ সুপার জনাব সাজিদ হোসেন, আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, অফিসার ইনচার্জ চুয়াডাঙ্গা সদর থানাসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।