‘জাফরুল্লাহ সবচেয়ে ডিফিকাল্ট পেশেন্ট’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিজের ৩৫ বছরের চিকিৎসা জীবনে সবচেয়ে ডিফিকাল্ট পেশেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন তার চিকিৎসক ডা. মামুন মোস্তাফি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা রোগমুক্তি উপলক্ষে এই সভার আয়োজ করা হয়।

সদ্য করোনা জয় করা প্রবীণ এই মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসক মামুন মোস্তাফি বলেন, আমি তার চিকিৎসা করার সূযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি। ডায়লোসিস রোগীদের করোনা হলে চিকিৎসা দেয়ার মতো হসপিটাল বাংলাদেশে নেই। তবে এখানে বড় ভাই (জাফরুল্লাহ) ডাইলোসেস রোগীদের করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউসহ সম্পূর্ণ সুযোগসুবিধা সম্পন্ন একটি ইউনিট তৈরী করেছেন।

ডা. মামুন মোস্তাফি আরও বলেন, গ্রামের একজন মানুষ ও কৃষক যে সেবা নিতে পারেন না তিনি তা গ্রহণ করেন না। ওনার করোনা বিজয়ী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় হলো তার মনবোল।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ হলেও বুকের ৮০ শতাংশ নিমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মেডিকেলে তার জন্য কেবিন রেডি করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলে দিয়েছেন ওখানে থেকে আমার গ্রামের একজন মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে না, আমিও নেবো না। গ্রামের কোনো মানুষের এখানে থেকে মৃত্যু হলে আমারও হবে।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহর যে একাত্মবোধ তা আর কারো মাঝে দেখেন নি উল্লেখ করে ডা. মোস্তাফি আর্ও বলেন, তার প্রতি দেশের মানুষের যে ভালোবাসা ছিলো তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলে দেখা যায়। প্রতিটা মানুষের দোয়া ছিলো আল্লাহ তুমি এই মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখো।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সম্ভবত আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাগ্যবান করোনা রোগী। সবাইকে জানাই আমার এবং গণস্বাস্থ্য পরিবারের অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা আমার দ্রুত রোগ মুক্তিতে সহায়ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের ভাইসপ্রিন্সিপাল অধ্যাপক মুহিব উল্লাহ্ খোন্দকার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বিনায়ক সেন, অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজাওয়ানা হাসান, জুনায়েদ সাকী, ভিপি নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
সুত্র-যুগান্তর