
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা জামায়াত আয়োজিত মহিলা সমাবেশে জেলা আমীর ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী রুহুল আমিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে সবার আগে মহিলাদের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। কারণ একমাত্র ইসলামই মহিলাদের সম্মানের আসনে সমাসীন করেছে। আজ এক শ্রেণির মানুষ মহিলাদের ভুল বোঝাবার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনীতি করার অপরাধে আমাদের ৫৫০ জন ভাই-বোন ও ছাত্রকে আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে। অসংখ্য ছাত্রকে তারা গুম করেছে। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন শুধু আমরা বিজয়ী হওয়ার জন্য করছি না; বরং এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশে ইসলামের রাজ কায়েমের মাধ্যমে জুলুম-নির্যাতনের অবসান হবে।
গতকাল শনিবার দর্শনা অঙ্কুর আদর্শ স্কুল মাঠে দর্শনা থানা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি রাশেদুন নাহার ববিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আমীর রুহুল আমিন উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ নির্যাতনের পর এমন সময়ে আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, যখন একজন স্ত্রী তার স্বামীকে খুঁজে পায় না, একজন বোন তার ভাইকে খুঁজে পায় না, একজন বাবা তার সন্তানকে খুঁজে পায় না।
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে সবার আগে মহিলাদের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। কারণ একমাত্র ইসলামই মহিলাদের সম্মানের আসনে সমাসীন করেছে। আজ এক শ্রেণির মানুষ মহিলাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে যে ইসলাম মহিলাদের ঘরে আবদ্ধ রাখতে চায় এটা মিথ্যা প্রচারণা।
জাহেলিয়াতের সমাজে যখন কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, তখন ইসলামী সমাজে কন্যাসন্তানের বাবা-মাকে জান্নাতী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করবো। তাদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের নির্বাচনী পরিচালক, জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের। সভায় বক্তব্য রাখেন দর্শনা সাংগঠনিক থানা শাখার আমীর মাওলানা রেজাউল করিম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর শাখার আমীর সাহিকুল আলম অপু, থানা সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম, এবং পৌর শাখার সেক্রেটারি শাহরিয়ার আলম দবির। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ সহস্রাধিক মহিলা নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।


