জীবননগরে প্রস্তাবিত স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান

দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে শুল্ক স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে শুল্ক স্টেশনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে পুনরায় চালু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৯৮ সালের ১৫ ই জুলাই ও ২০০৯ সালের ১১ জুন এক প্রজ্ঞাপন নং-২৬২/২০০৮/শুল্ক-এর মাধ্যমে সকল প্রকার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ১৯টি পণ্য আমদানীর অনুমতি প্রদান করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৯ সালের শুল্ক এস.আর.ও বুকলেট মোতাবেক এ বন্দরের অবস্থান দেশের মধ্যে ২৭ তম। বন্দরটির ব্যাপক সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারের নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। একই বছরের ২৪ আগস্ট নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব শাজাহান খান বন্দরের ভিত্তি প্রস্তÍর স্থাপন করেন। উদ্বোধনের ৮ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখলো না এই স্থলবন্দরটি ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় জীবননগরে প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ মাজদিয়া স্থলবন্দরের অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয় গুলো পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান কে. এম তারিকুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোতুর্জা, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোঃ আঃ লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, হাজী আঃ মালেক মোল্লা, জাকির হোসেন বিশ্বাসসহ দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান কে. এম তারিকুল ইসলাম বলেন, দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের গেজেট আছে, জীবননগর দৌলৎগঞ্জ মাজদিয়া স্থলবন্দর তার মধ্যে অন্যতম একটা। তাছাড়া স্থলবন্দরের যে সমস্ত অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তার সব কিছুই আছে এবং এখান দিয়ে স্থলবন্দর চালু হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন এবং এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তবে পর্যায়ক্রমে দৌলৎগঞ্জ মাজদিয়া স্থলবন্দরটি চালু হবে।