জীবননগরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে জীবননগর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। চায়ের দোকান কিংবা হাট বাজারে সব স্থানেই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। আর মাত্র কয়েক মাস পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জীবননগর পৌর সভার নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের তিন জন এবং বিএনপির একজন সম্ভব্য মেয়র প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়িতে যেয়ে ঘরোয়া পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

এখন দেখার পালা কে হচ্ছেন আগামি দিনে জীবননগর পৌর পিতা বর্তমান মেয়র হিসাবে যিনি আছেন তিনি নাকি নতুনদের মধ্যে কেউ ? তবে সাধারন ভোটারদের অভিযোগ ভোট নেওয়ার সময় প্রার্থীরা পৌর সভায় উন্নয়ন মুলক কাজের আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর আর কেউ সে কথা মনে রাখে না এ জন্য এবার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়টি সবাই গুরুত্ব সহকারে এবং প্রাথী দেখের্ ভেবে চিন্তে দেওয়ার কথা ভাবছেন।

এদিকে সম্ভব্য প্রার্থীরা বলছেন পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করলে পৌর মেয়র নয় পৌরবাসীর সেবক হিসাবে কাজ করবো ,অসাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে ,সাধারন মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ নানা ধরনের উনয়ন্নমুলক কাজ করার আশ্বাস প্রদান করছেন ।

জীবননগর পৌর সভার নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি গত বার পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকার নির্বাচনে পরাজিত ব্যাক্তি নাসির উদ্দিন,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও ৭নং ওর্য়াডের তিনবার নির্বাচিত সাবেক পৌর কাউন্সিলার রফিকুল ইসলাম এবং জীবননগর পৌর যুব দলের আহবায়ক ও ৮নং ওর্য়াডের দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলার হযরত আলী। জীবননগর পৌরসভাটি ১৯৯৭ সালে ৯টি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত হয় ।

জীবননগর পৌর সভার বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত নির্বাচনে পৌরবাসী আমাকে ব্যাপক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের সময় আমি সাধারন মানুষের যে সমস্থ প্রতিশ্রতি দিয়েছিলাম তা প্রায় সবই করেছি । আর যতটুকু বাকি আছে তা বর্তমান চলমান আছে । তা ছাড়া আমি পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে নতুন ভাবে পৌর ভবন নির্বান,পৌরবাসীর নিরাপদ পানির ব্যবস্থা,রাস্থাঘাট নির্মানসহ নানা ধরনের উন্নয়মুলক কাজ করেছে ।

আশা করি আমি আগামি নির্বাচনে ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো । এবং বিগত সময়ে যে ভাবে জীবননগর পৌরবাসীর সাথে ছিলাম এবং আগামি দিনগুলোও থাকবো । জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন,গতবার নির্বাচনে আমি দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলাম এবারও আশা আছে পৌর নির্বাচন করবো যদি দলীয় ভাবে নমিনেশন পাই তা হলে নির্বাচন করবো ।

জীবননগর পৌর সভার সাবেক পৌর কাউন্সিলার ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি দির্ঘ দিন যাবৎ সাধারন মানুষকে সেবা করে আসছি একাধারে তিনবার কাউন্সিলার হিসাবে বিজয় লাভ করেছি ।

মেয়র হিসাবে নির্বাচন করার জন্য ব্যাপক হারে সাড়া পেয়েছি সকলের দাবি আমি যেন এবার মেয়র পদে নির্বাচন করি ।সাধারন ভোটারদের নিয়েই আমি কাজ করি তাদের কথা আমাকে শুনতেই হবে ।

তা ছাড়া দলীয় ভাবে নমিনেশনের জন্য আমি আবেদন করবো দেওয়া না দেওয়া দলীয় ব্যাপার ।আমি যদি আগামি পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হতে পারি তা হলে আমার প্রথম কাজ হবে পৌরসভায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা,রাস্তাঘাটা ও ড্রেন নির্মান করা পাশাপাশি অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকা এবং পৌরবাসীকে সঠিক ভাবে সেবা দেওয়া । পৌরবাসীই সব কিছুর মালিক আমি শুধু তাদের সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই ।

জীবননগর পৌর যুবদলের আহবায়ক ও বিএনপির সম্ভব্য দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী এবং বর্তমান ৮নং ওর্য়াড কাউন্সিলার হযরত আলী বলেন,আমি দুই বার পৌর কাউন্সিলার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। এবার আমি জীবননগর পৌর সভার মেয়র হিসাবে নির্বাচন করতে চাই ইতোমধ্যেই আমি পৌরসভার ৯টি ওয়াডেই নির্বাচনী আলোচনা করছি তাতে ভোটারদের অনেক সাড়া পেয়েছি। আমি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকে সঠিক ভাবে পৌর সেবা নিশ্চিত করবো ।

পৌর সভার মধ্যে যে সমস্থ সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে । পৌর সভায় যে সমস্থ অসাপ্ত কাজ আছে সেগুলো সমাপ্ত করা হবে । এদিকে নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের কদরটাও বেড়ে চলেছে ।