জীবননগর থানার ওসি সহ দুই কর্মকর্তা পুলিশ লাইনে ক্লোজড

জীবননগর উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ না করা, সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া ও শাহপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাঈদকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে তাকে জীবননগর থানা থেকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
জীবননগর উপজেলার শাহাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাহিদুজ্জামান সাইদের বিরুদ্ধে আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে গত রোববার রাত ১১টার দিকে শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাঈদ ও উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ না করা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গতকাল সোমবার বিকালে জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়াকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এদিকে একই অভিযোগ উঠেছে ,সম্প্রতি ডিবি পুলিশ থেকে জীবননগর থানায় যোগদান করা এস আই আরিফ ও শাহপুর ক্যাম্পের সাবেক এ এস আই ইমামুলের বিরুদ্ধে। জীবননগর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া ও বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে মাসিক হারে টাকা গ্রহন করে।
শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাহিদুজ্জামান বলেন, আমি কোন আসামীকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া তো দুরে থাক তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। আমি দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র এক মাস এই সময়ের মধ্যে যে সমস্থ আসামী আটক করেছি তা জীবননগর থানায় সোর্পদ করেছি।
সিনিয়ার সহকারী পুলিশ আবু রাসেল বলেন, দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন না করার অভিযোগ পাওয়া যায় ওসি শেখ গণি মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদকবিরোধী অভিযানে তার ব্যর্থতার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সাথে পুলিশ বাহিনীতে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যদেরকে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারার অভিযোগও পাওয়া যায় ওসি গণি মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া শাহপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সাহিদুজ্জামান আসামীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা ও দায়িত্বে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জীবননগর থানার ওসি শেখ গণি মিয়াকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
সেইসাথে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যরা মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। এর দায় থানার ওসি এড়াতে পারেনা। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত জেলার কোন পুলিশ সদস্যদেরকেই ছাড় দেয়া হবেনা। শুধু মাদকই নয় বরং পুলিশকে যেকোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।