ঝিনাইদহে অসহায়ের দায়িত্ব নিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহের অদম্য সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুরাইয়া আক্তারকে উপহারসামগ্রী ও নগদ টাকা তুলে দেওয়া হয়।

দোকান চালিয়ে পড়ালেখা করা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী সুরাইয়া আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সুরাইয়াকে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা ও উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুরাইয়ার পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।

গতকাল সোমবার সংবাদ মাধ্যমে ‘টাকার অভাবে সুরাইয়ার উচ্চশিক্ষার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান খবরটি পড়ে সুরাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এরপর আজ মঙ্গলবার তিনি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সজিব হোসেন ও কর্মী অনিক হাসানের মাধ্যমে নগদ টাকা ও উপহারসামগ্রী পাঠান। তাঁরা দুপুরেই সুরাইয়াদের বাড়িতে হাজির হয়ে এগুলো তুলে দেন।

মুঠোফোনে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, এখন থেকে সুরাইয়াকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদপত্রে সুরাইয়ার খবরটি দেখে তাঁর পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে আর্থিক কষ্টের কারণে তাঁর পড়ালেখার কোনো সমস্যা হবে না, যা ইতিমধ্যে সুরাইয়াকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুরাইয়া আক্তার (১৮) জীবনের সব পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে আর্থিক কষ্টে সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেননি। আবার যেখানে ফরম পূরণ করেছেন, সেখানে ভর্তির সুযোগ পেলেও চিন্তা, কীভাবে পড়ালেখা করবেন।

সুরাইয়া আক্তার জানান, বাবা সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর পড়ালেখা করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তখনই বাড়িতে একটি দোকান করেন। এখানে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসারের পাশাপাশি পড়ালেখা চলে।

ছাত্রলীগের সহযোগিতা পেয়ে খুশি সুরাইয়া আক্তার। তিনি বলেন, এবার চিন্তামুক্ত হয়ে ভালো করে পড়ালেখা করতে পারবেন। যাঁরা তাকে সহযোগিতা করছেন, তাঁদের সম্মান তিনি রক্ষা করতে পারবেন।

সুরাইয়া আক্তারের মা ছবুরা বেগম বলেন, তিনি মেয়েকে পড়াতে না পেরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়ে আশা ছাড়েননি। অবশেষে তাঁর আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।