
ঝিনাইদহে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য নেছার আলী (৫৫) নামে আটকে রাখা এক চাতাল শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত নেছার আলী যশোরের চৌগাছা উপজেলার কান্দি গ্রামের মৃত সোনা মন্ডলের ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ঝিনাইদহের ত্রিমোহনী বাজারে শরিফুলের চাতালে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাতাল শ্রমিক নেছার আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী দীর্ঘদিন শরিফুলের চাতালে কাজ করতো সেই সুবাদে নেছার আলী শরিফুলের নিকট থেকে ১ লাখ ৫০হাজার ধার নেই কিন্তু দীর্ঘদিন সেই টাকা পরিশোধ না করে এখান থেকে কাজ ছেড়ে চলে যায়। বেশ কিছুদিন খোজাখুজির পর গত ২১ জুলাই সোমাবার সকাল ১০টার দিকে কোটচাঁদপুরের তালেরসর বাজার থেকে নেছার এবং তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে আসে শরিফুল। ধরে আনার পর তাদের কে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং সেসময় মারাধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে রাতে তাদের কে শরিফুলের ওই চাতালের বদ্ধ ঘরে আটকে রাখে। সকালে স্ত্রীকে অন্য জায়গায় রেখে নেছারের উপরে টাকা আদায়ের জন্য নির্যাতন করা হয় বলে তার স্ত্রী দাবি করেণ। কিছুক্ষন পরে নেছার অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় এই রোগী হাসাপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। নেছারের স্ত্রী এবং স্বজনদের দাবি নেছার আলী অতিরিক্ত মারধরের ফলে মারা গেছে।
এদিকে মিল মালিক শরিফুলের পক্ষ থেকে জানান, নেছার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমারা তাকে কোন মারধর করেনি। দীর্ঘদিন টাকা নিয়ে পরিশোধ করেনা এজন্য আমরা তাকে ধরে এনেছিলাম টাকা আদায়ের জন্য। তবে কোন নির্যাতন করেনি। ভোক্তভোগী নেছারের বোন এবং স্বজনরা, নেছার গরিব মানুষ বলে ঘটনাটি ধামাচাপা না দিয়ে শুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের প্রকৃত বিচারের দাবি জানান।