
ঢাকার মিডিয়া কর্মী স্বর্ণময়ীর মৃত্যুকে কোন রকম ভাবেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার, বাড়িতে বইছে শোকের মাতম, এদিকে কে নিয়ে ঝিনাইদহ শহর জুড়ে চলছে নিন্দার ঝড়।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকা স্ট্রিম হাউজের মিডিয়া কর্মী স্বর্ণময়ী শেরেবাংলা নগরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে। এই আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উঠে আসে একই হাউজের একই জেলার সিনিয়র পুরুষ সহকর্মী আলতাফ শাহনেওয়াজ নয়নের নাম।
স্বর্ণময়ী ঝিনাইদহ শহরের আর্দশ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভক্তি গোপাল বিশ্বাসের মেয়ে। অপর দিকে আলতাফ শাহনেওয়াজ নয়ন একই শহরের হামদহ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেনে ছেলে।
এদের উভয়ের গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নে এবং কর্মস্থল একই হাউজে হওয়ায় সর্ম্পকের সুত্রতা তৈরি হয়। কদিন ধরেই এনিয়ে ঢাকার মিডিয়া হাউজ এবং ঝিনাইদহে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
কতিথ আলতাফ শাহনেওয়াজ নয়নের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচিতি থাকলেও যারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা বলেন উনি কখোনই মুক্তিযুদ্ধ করেন নি, পরবর্তিতে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করে তার ছেলের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট অর্জণ করেছেন।
স্বর্ণময়ীর বন্ধু স্বজনদের নিকট থেকে জানা যায়, সে একজন অত্যন্ত সাহসি এবং প্রগতিশীল মানষিকতার মেয়ে ছিলেন। একই মিডিয়া হাউজে কাজ করার সুবাদে স্বর্ণময়ীকে নানাভাবে মানষিক এবং যৌন হয়রানি করত এই নয়ন। শুধু তাকেই নয় সেই অফিসের ২৬জন সহকর্মী তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন সম্পাদক বরাবর।
কিন্তু সম্পাদক নয়নের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে অভিযোগ কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থাকে এই আলতাফ শাহনেওয়াজের ডাক নাম নয়ন। যিনি নির্লিপ্ত নয়ন নামে কবিতা লিখতেন, ছিলেন প্রথম আলো পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকও ।
তারপর তার পড়ালেখা ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে এখন নানা মুখরোচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রতিবন্দ্বী কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায় সুযোগ করে নেন। এই ধরণের হয়রাণির ঘটনার শিকার হয়ে তার বোন আত্মহত্যা করে বলে আমরা জানি। যে নয়ন সেদিন তার বোনের ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলো অনেকেই এগিয়ে এসছিল সেই প্রতিবাদ মিছিলে, আজ সে নিজেই একজনের আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাড়ালেন বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে দাবি করেণ শহরের বিজ্ঞজনেরা।
সহকর্মীর বিরুদ্ধে এধরণের যৌন নিপিড়নের কারণে অত্মহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং এই নয়নের গ্রেপ্তার পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি দাবি করেণ তারা। তারা জানান এই অপরাধ ক্ষমাহীন। নয়ন তার ফেসবুকে লিখেছিল “যার ব্রে’স্টের শেপ এরকম ভচকানো, তার বাংলাটা ভচকানো হবে” উপরের এই বাক্যটি স্বর্ণময়ীকে নিয়ে নাকি লিখেছিল। যা স্বর্ণময়ীকে এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে ।
স্বর্ণময়ীর বাড়িতে গেলে দেখাযায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা শোকে মুর্ছমান। অপরদিকে নয়নের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। স্বর্ণময়ীরা দুই ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। ঝিনাইদহবাসী এবং দেশের ২৪৭জন বিশিষ্ট নাগরিক এই প্ররোচিত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেণ।