তীক্ষ্ণ দৃষ্টি – আনিতা

অদূর হতে আমি সেই চক্ষু জোড়া গুলো দেখতে পাই।
সকলের নিকট যা অতি সাধারণ আমার কাছে কিছুটা ভিন্ন চিত্র।
সেই চক্ষু পানে চেয়ে থাকলে আমি অনুভব করতে পারি,
ওই চক্ষু জোড়া কি যেন অন্ধের মতো হাতড়াচ্ছে?

আমি অনুভব করতে পারি ওই ভেজা চক্ষু দু’খানা সব,
হারিয়েও যেন কিছু একটা ছুঁতে চায় যাকে সে সকলের অগোচরে রেখেছে।
আমি অনুভব করি তার সেই বাকরুদ্ধহীন নীরব কান্না কে,
আমি দেখতে পাই দিবালোকের তার সেই বোবা যন্ত্রুর,

সাথে বসে দু’ফোটা অশ্রু ফেলতে থাকা সেই যন্ত্রণাদায়ক চক্ষু দু’টিকে।
ভিতর সত্তা দুমড়ে মুচরে একাকার হওয়া সত্তেও

তাকে বোবা যন্ত্রণায় কতরায়।
তার বুক ফাটা আর্তনাদ সে দমবন্ধ আলোহীন ,
চার দেওয়াল এর মাঝেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়,
প্রতিটা প্রহর সে আমৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরায়।

কাল রাত্রি যে বড় দীর্ঘ চোখের জলে ভেসে ওঠে ,
সেই সব সৃতির পাতা যা সে চির তরে মুছে ফেলতে চায়।
সে স্মৃতিবিজড়িত মুহূর্তগুলো তাকে তিলে তিলে কুরেখাচ্ছে।
নিজের কাছে এক অসহায় পথিক যার চাইবার সাধ্যি টুকু নেই?

সে যা দান করেছে তা দিয়ে সে আজ নিজে ভিখারি,
চাইবার মতো শুধু মুক্তি।