তেজ হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন নিম্নচাপ

রাতে স্থলে আঘাত হানার পর সময়ের সঙ্গে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। তা এখন গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ৩৮তম বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপ হয়ে সকাল ৯টায় রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল।। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে।

দুর্বল হয়ে পড়ায় মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে, সাগর উত্তাল রয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য ও অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৬ ফুট অধিক উচ্চতর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৪০-৫৯ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ত্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার রাতে আঘাত হানা আম্পানে দেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সূত্র-যুগান্তর