ত্রাণ দেওয়ার নামে দরিদ্র অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করলেন ইবি প্রশাসন

ত্রাণ দেওয়ার নামে দরিদ্র অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন।

জানা যায়, ক্যাম্পাসে থাকা বিভিন্ন ভ্যানচালক, বাদাম বিক্রেতা, শসা বিক্রেতা, ঝালমুড়ি, ফুচকা চটপটি বিক্রেতাসহ কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে বলে সারাদিন বসিয়ে রেখে ও খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে এমন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজনকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে অনেকেই।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রেখে সব মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তারা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাদ্যসামগ্রী না দিয়ে সারাদিন দাঁড় করিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। আমরা গরীব অসহায় বলে আমাদের এভাবে দাঁড়িয়ে রাখাটা যেন তাদের কাছে আমাদের কাছে মানুষ বলে গণ্য করে না।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা তাহাজ্জদ আলী, ডাব বিক্রেতা সোহেল মিয়া, শরবত বিক্রেতা মাজিদুলসহ আরও কয়েকজন জানান, আমাদের সকাল আটটার সময় ডেকে এনে দুপুর একটা পর্যন্ত কেউ কিছু খাদ্যসামগ্রী না দিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি।

এদিকে অসহায় দরিদ্র দিনমজুরিদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হবে এমন খবর পেয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশ এলাকার আরো কয়েকশ দরিদ্র ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ভিড় করে। তবে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তারা খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নির্দেশে তাদেরকে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর পরেশ বর্মন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে না। তবে বিভিন্ন গ্রুপ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ না করে অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্য তালিকা করছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ হাজির না হলেও তাদেরকে বাড়িতে বাড়িতে অথবা বিকাশ একাউন্টে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এত লোক সমাগম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢুকতে গিয়ে দেখেছি অনেক লোকজন ত্রাণ নিতে এসেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ত্রাণ বিতরণ করছে না মর্মে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।