দর্শনায় শিক্ষক মাসুমের বাড়িতে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ৮জন আটক! আদালতে সোপর্দ

দর্শনার মোহাম্মদপুরে শিক্ষক আক্তার হোসেন মাসুমের বাড়িতে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে পুলিশ ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন নাবালিকা হওয়ায় অভিভাবকের জিন্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে ২৯ ধারায় মামলাদায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে একজন প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

জানাগেছে, দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুরে আক্তার হোসেন মাসুমের (চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া রমেলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) বাড়িতে গত কয়েকদিন আগে কোটচাঁদপুর শ্রীরামপুর বিশ্বাস পাড়ার কাঁঠাল ব্যবসায়ি হাফিজুর রহমানের ছেলে হাসান আকন্দবাড়িয়া তমালতলা পাড়ার স্ত্রী নাহার ওরফে হাফিজা খাতুনকে নিয়ে বাসাভাড়া নেয়।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই বাসাতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে এমন সংবাদ দেয়া হয় দর্শনা থানা পুলিশকে। দর্শনা থানার এসআই নিজাম উদ্দিন ও এসআই আনোয়ার হোসেন বাড়ি তল্লাশী করে ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃতরা হলেন কোটচাঁদপুর ছাবদালপুরের হাসান আলী (৩৫), ইয়াসিন আলী (৩২), মিলন মণ্ডল (৩৪), শিমুল হোসেন (২১), হাফিজা খাতুন (৩৬), চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার শাহারিয়া জান্নাত ওরফে সেতু (২২), বেগমপুর বিলপাড়ার যুথি খাতুন (১৮) ও জান্নাতুল ফেরদৌসি (১৯)। এদের মধ্যে সেতু, যুথি ও জান্নাতুল শিশু হওয়ায় পুলিশ তাদের অভিভাবকের জিন্মায় ছেড়ে দিলেও বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে ২৯ ধারায় মামলাদায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করেছে।

এদিকে একজন প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে অর্থের বিনিময়েয বাসাভাড়া দিয়ে দেহব্যবসার মত ঘটনা ঘটায় শিক্ষক মাসুমকে নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এব্যাপারে শিক্ষক মাসুম বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। যখন ভাড়াটিয়া ওঠে তখন থেকেই তাদের আইডিকার্ড চাচ্ছি কিন্তু দিচ্ছে না।