দামুড়হুদায় পাওয়ার ট্রিলারের চাকায় হাওয়া বিস্ফোরণে কিশোর কর্মচারী নিহত

দামুড়হুদায় পাওয়ার ট্রিলারের চাকায় হাওয়া বিস্ফোরণে কিশোর কর্মচারী নিহত

দামুড়হুদায় পাওয়ার ট্রিলারের চাকায় হাওয়া দিতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় রহিম (১১ ) নামের এক কিশোর কর্মচারী নিহত হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ব্রিজ সংলগ্ন মন্ত্রী ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স এন্ড ওয়েলিং হাউজ প্রতিষ্ঠানে এ দূর্ঘটনাট ঘটে।

নিহত কিশোর একই ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের ফকরের ছেলে।সে ৮ দিন পূর্বে উল্লেখিত দোকানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাওয়ার ট্রিলারের চাকা পামছার হওয়ার কারণে।গাড়ির চালক চাকাটি সারানোর জন্য খুলে নিয়ে আসেন মন্ত্রী ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ সিরাজুলের দোকানে। দোকানে থাকা ১১ বছর বয়সের কর্মচারী কিশোর রহিম ঐ চাকাটি সারান।এরপর গ্যাস সিলিন্ডারে পাওয়ার ট্রিলারের চাকায় হাওয়া ঢুকান সে। চাকায় হাওয়া ঢুকানোর এক পর্যায়ে অতিরিক্ত হাওয়ায় ফলে চাকাটি বিস্ফরোণ হয়।এসময় চাকার ভিতরে থাকা লোহার বস্তুু’র একটা অংশ ছিটকে দোকানের উপরে থাকা টিন ভেদ করে সড়কের উপরে পড়েন। অপর একটি লোহার অংশে কিশোর রহিমের মাথায় স্ব জোরে আঘাত লাগলে তার মাথা দ্বি খন্ডিত হয়।এতে ঐ কর্মচারী মারাত্মক জখম হলে তার মাথা দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন।হাসপাতালে পৌঁছালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সচেতন মহল বলছেন,একেবারে অল্প বয়সের একটা কিশোরকে দিয়ে এ ধরনের কাজ করানোটা উচিত হয়নি।জেনেছি নিহত কিশোর এ দোকনে ৭-৮ দিন কাজ শুরু করেছেন।এ কাজের তো তার কিছুই বোঝার কথা নয়।তাছাড়া আইনে আছেন এ বয়সের শিশু – কিশোরদের দিয়ে কাজ করানো অবৈধ। এরপর পারিবারিক অচ্ছলতার কারণে যদি কেউ করেই থাকেন তবে দেকান মালিককে অবশ্যই শিখিয়ে পড়িয়ে নেওয়া উচিত ছিল । সামান্য একটা ভুলের কারণে অল্প বয়সের একটা জীবন হারিয়ে গেল। অতচ এখন তার থাকার কথা স্কুলে।

ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান,ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক।পারিবারিক ভাবে জেনেছি এ ঘটানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করবেে না। ময়নাতদন্ত ছাড়াই যাতে তাদের সন্তনের মরদেহ দাফন করতে পারেে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত, চিকিৎসক সৌরভ হোসেন জানান হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে তার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে আছে।

এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয় নিহতের পরিবার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।