দামুড়হুদায় এক সেনা সদস্যর বাড়ি ভাংচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও মারপিটের অভিযোগ

দামুড়হুদা উপলেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামে এক সেনা সদস্যর বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ প্রতিবেশীর বাড়ি ভাংচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি সহ মারপিট, নগদ টাকা লুট পাটের ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে গত শুক্রবার দুপুরে কার্পাসডাঙ্গার পীরপুরকুল্লা গ্রামের খালপাড়ায় মহিলাদের ঝগড়া বিবাদের জের ধরে ঠাকুরপুর গ্রামের মজিবারের ২ ছেলে আশাদুল (৩৫) ও শহিদুল (৩০) সহ ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পীরপুরকুল্লা গ্রামের খাল পাড়ায় সেনাবাহিনীতে কর্মরত হাসিবুল ইসলাম পিতা সোহরাহ হোসেনের বাড়ী ভাংচুর সহ মহিলাদের মারধর এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

শুধু তাই না, সেনা সদস্য হাসিবুল ও তার আপন বড় ভাই জসিম বাড়িতে না থাকায় জসিমের স্ত্রী শাহানাহ খাতুন (৩৫) ও তার নাবালিকা মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে বেদম মারপিট সহ শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে বলে জানাগেছে। এসময় প্রতিবেশী মৃতঃ আঃ জলিলের ছেলে আফছার আলী (৫০) ও তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারপিট করে এবং বাড়ি-ঘর ভাংচুর সহ ঘর তৈরীর জন্য আলমারিতে রাখা নগদ তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় ঠাকুরপুরের শহিদুল ও আশাদুলরা।

এদিকে সেনা সদ্যসর ভাই জসিমের সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে ভয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছে। জসিমের স্ত্রী শাহানাজও ভয়ে ভয়ে আছেন। স্বামী বাড়িতে না থাকায় শাহানাজ ও তার নাবালিকা মেয়ে থানায় কোন অভিযোগ করতে পারেননি।

আসলেই শাহানাজ ও তার নাবালিকা মেয়ের সাথে কি ঘটনা ঘটেছে পুলিশ সঠিক তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। ওদিকে উক্ত ঘটনায় আহত আফছার, তার স্ত্রী ফাহিমা সহ কয়েক জন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে ওই দিনই বাড়ি ফেরেন। এবং কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনা দুই দিন অতিবাহিত হলেও অভিযোগটি কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প পর্যন্ত সীমাবদ্ধ আছে।

এব্যাপারে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই জুয়েলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমি সঠিক তদন্ত করে আগামি কাল দামুড়হুদা মডেল থানায় নিয়মিত মামলার আবেদন করবো। বিষয়টি নিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ খালেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।