
দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা, চিৎলা-গোবিন্দহুদা, লোকনাথপুর, বদনপুর, নাপিত খালী, ও পাটাচোরার ভৈরব নদীর পাড়সহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। কৃষকের ফসলি জমির পাশে বড় বড় পুকুরের ন্যায় খনন করে মাটি ও বালি কেটে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।
এছাড়াও মাটি কাটা গর্তের কারণে ভাঙ্গনে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। মাটি কাটার ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চুপিসারে মাটি কাটছে কিছু ভূমিদস্যু। প্রশাসন অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করলেও তারা থামতে নারাজ। ভুক্তভোগী কৃষকরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। কোষাঘাটা, নাপিতখালী, বদনপুর ছটাঙ্গার মাঠে মাটি কেটে গর্ত করার কারণে মাটি ভেঙে পড়ে তাদের ফসলি জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
মাটি কাটা বন্ধ করতে ভুক্তভোগীগণ বিভিন্ন সময় দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি অফিস ও দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কঠোরভাবে সতর্ক করাসহ বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের জরিমানা করা হয়। এতে কয়েক দিন মাটি কাটা বন্ধ রাখার পর আবারো তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একইভাবে মাটি কাটা শুরু করেন। ট্রাক্টর ভিড়িয়ে এভাবে মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে ফসলি জমির মালিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন আশ পাশের জমির মালিকরা।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন মাটি কাটার অপরাধে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করার পরও মাটি কাটছে। যারা মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


