ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে ঈদ উল আযহা পালিত

আজ শনিবার (১ আগস্ট) ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আজহা মেহেরপুরসহ সারা দেশে পালিত হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাহানের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। 

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মেহেরপুরের প্রায় সব জায়গাতেই মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর কোট জামে মসজিদে ঈদুল আযহার ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম জামাত সকাল সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ৩য় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান ৩য় জামাতে নামাজ আদায় করেন।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি সকাল ৮ টায় পুলিশ লাইন মসজিদে পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।

সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের হোটেল বাজার জামে মসজিদে ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল হোটেল বাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়েছেন।

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। বাঙালি সমাজে ‘কোরবানির ঈদ’ নামেও পরিচিত। 

এদিন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি করছেন।

একদিকে বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনার প্রভাব অন্যদিকে দেশে বন্যার প্রকোপে এবার ঈদ এসেছে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। দেশের এই বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে নাকাল অগনিত মানুষ। তারপরও পবীত্র ঈদকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ যাপন করছে মেহেরপুরবাসী।

পবিত্র ঈদ-উল-অযহা সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নিজ সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর এই ত্যাগের মনোভাবের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করে থাকেন।

মেপ্র/এমএফআর