নদী খননে তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীসহ ৫টি নদী খননের উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় এ নদী খনন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগরে চিত্রা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া পিচ মোড় গ্রামে নদীর মাটি কেটে খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম , জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম,জীবননগর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা,সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোঃ আঃ লতিফ অমল,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন।

এ সময় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতিৃক দেশ। তাই সারা দেশে নদীগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশের নদীগুলো সচল হলে দেশের তৃণমূলের কৃষি ঘুরে দাঁড়াবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গার ৫টি নদী খনন করা হবে। চিত্রা নদী খনন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জনন্ত্রেী শেখ হাসিনার নদী খনন প্রকল্পটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ নদীগুলো বাঁচলে বাঁচবে পরিবেশ, রক্ষা হবে জীব বৈচিত্র। তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় উন্নতি হবে। আর এ কারণে নদী বাঁচাতে সরকারের এ পরিকল্পনা ।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গার মধ্য নদী বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী খনন করা হবে।এর মধ্যে জীবননগর উপজেলাতে ৬ কি: মিটার নদী খনন করা হবে। ২০২০ সালের ২০ জুনের মধ্যে খননের কাজ শেষ করা হবে।

-মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুম ,জীবননগর