পতাকা বিক্রি করেই আত্মতৃপ্তি মিরাজের

জাতীয় পতাকা বিক্রি করেই সংসার চলে মিরাজ উদ্দিনের। তবে এই ব্যাবসা সবসময়ের জন্য নয়। বছরের বিশেষ বিশেষ দিবসেই কেবল পতাকা নিয়ে বের হন দেশের বিভিন্ন জেলায়। পায়ে হেটে হেটে বিক্রি করেন এই পতাকা। তবে মানুষের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিতেে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি।

আগামীকাল বিজয় দিবস। ডিসেম্বরের এই বিজয় দিবসকে সামনে রেখে তিনি মাসখানেক আগে বাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়েছেন পতাকা বিক্রি করতে।

বিজয় দিবসটিতে একটি বিশেষ মর্যাদা পায় জাতীয় পতাকা। সেই জাতীয় পতাকার যোগান দিতে নানা বয়সী মানুষের কাছে বিক্রি করেন বিভিন্ন সাইজের পতাকা।

সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য চত্বরে দেখা মিললো পতাকা বিক্রেতা মিরাজের সাথে। তার পৃুরো নাম মিরাজ উদ্দিন। মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার চরকামারকান্দী এলাকার বাসিন্দা তিনি। পেশায় শ্রমিক হলেও বছরের বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবেস তিনি এই জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে বের হন।

বাঁশের সঙ্গে বিভিন্ন সাইজের পাতাকা লাগিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ান। কাঁধে থাকে একটি ব্যাগ। এর মধ্যেই থাকে বিভিন্ন সাইজ ও মানের পতাকা। সাইজ ও মানভেদে এসব পতাকার দামেও রয়েছে ভিন্নতা। একটি জাতীয় পতাকা ২০ টাকা থেকে শুরু করে দুইশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

পতাকা কিনছিলেন বিপুল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বিজয় দিবসে আমার প্রতিষ্ঠানে নতুন পতাকা উত্তোলন করবো বলে দেড়শ টাকা দিয়ে একটা পতাকা কিনলাম। তাছাড়া পতাকা মানেই তো লাল সুবজের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের আগে একমাস দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পতাকা বিক্রি করি।

এবার কুষ্টিয়া শহরের একটি আবাসিক হোটেলে আমি একটা রুমে উঠেছি। দৈনিক ২শ টাকা করে দিতে হয়। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেটে হেটে এই পতাকা বিক্রি করি। এতে করে দিনশেষে ৪ থেকে ৫শ টাকা লাভ হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা বিক্রি করে আত্মতৃপ্তিতে আমার মন ভরে যায়।