পরকীয়ার জেরে খুন হয় ফারুক-পুলিশ সুপার

মেহেরপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যার সাথে জড়িত দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

গত রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার একটি স্থান থেকে ফারুক হোসেন নামের এক আসামিকে আটক করা হয়। গত সোমবার বিকালে তাকে মেহেরপুর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি ফারুকের সহযোগী মেহেরপুর শহরের তাঁতীপাড়াস্থ কাছেদ আলীর ছেলে তাইদ আলীকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসামি ফারুক ও নিহত ফারুক দু-জনেই পূর্ব পরিচিত বন্ধু মত। আসামি ফারুক ২০০৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন যাপন করছিলেন। সে সময় প্রবাসী ফারুকের বিভিন্ন কাজ করে দিতেন নিহত ফারুক হোসেন।

সে সূত্র ধরে প্রবাসী ফারুকের স্ত্রীর সাথে নিহত ফারুকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিদেশে থেকে ফিরে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারে আসামি ফারুক। পরে এ সম্পর্ক থেকে সরে যেতে বলে। সম্পর্ক থেকে সরে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুক ও তার সহোযোগী দাইদ আলী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও হাসুয়া পুলিশ হেফাজতে আছে। তিনি আরও বলেন, হত্যা কাণ্ডের সাথে ফারুক ও দাউদ এই দুজন জড়িত। এছাড়াও যদি আসামি ফারুকের স্ত্রীর কোন সম্পৃক্ততা পাই তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের তাঁতীপাড়ায় মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক হোসেন (৩৯) কে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক রাসুল সামদানি আজাদ এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন।