একসময়ের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট। পাটের সেই সোনালী অতীত না থাকলেও এখনো অনেক কৃষকই ধরে রেখেছে এই আবাদ পাট চাষীদের নিয়ে কাজ করে মুজিবনগর উপজেলায় একটিমাত্র অফিস উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় যেটি মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। গত ৩ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে তালা খোলা হয়নি এই অফিসের।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামকে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন গতকাল বুধবার তিনি ছুটিতে আছেন এবং গত মঙ্গলবার তিনি জেলা পাট কর্মকর্তার সাথে ছিলেন। এই অফিসের অফিস সহকারীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন দিন যাবত তিনি ছুটিতে আছেন। অফিস সহকারীকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি। নিয়মমাফিক অফিস না করার বিষয়ে উপ-সহকারী পাট কর্মকর্তা রাশেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আজ নতুন নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক পাটের বীজ সার সহ প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণে পক্ষপাতিত্যের অভিযোগ তোলেন ।
গত কয়েক বছর পাটের দাম আশানুরূপ না পেলেও এবছর কাঙ্খিত দামের আশা করছেন মুজিবনগর এর চাষিরা। তারা বলছেন ছোটো খাটো সমস্যা নিয়ে আসলে পাওয়া যায় না এই কর্মকর্তা কে।
এ বিষয়ে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বলেন তাদের ছুটির বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না। বিনা অনুমতিতে অফিস না করায় তাদেরকে শোকজ করা হবে।
জেলায় মোট পাটের আবাদ হয়েছে ১৭৬৫৫ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে মুজিবনগরে আবাদ হয়েছে ২৫০০ হেক্টর জমিতে।