প্রকাশ্যে ঘুরলেও আসামীরা অধরা !

ছাত্রলীগ নেতা তুষার ইমরান হত্যা চেষ্টার ৬ দিন পার হলেও আটক হয়নি কেউই। এলাকাবাসীর অভিযোগ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে । একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার আসামীরা কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরতে পারে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের পিতা মুকুল আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে দির্ঘদিন জড়িত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশিক ও তার ক্যাডার বাহীনি দিয়ে আমার ছেলে উপর হত্যা চেষ্টা চালায়। এতে সে মারাত্বক জখম হয়ে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্মষতায় থাকার পরও আমার ছেলে হত্যা চেষ্টার আসামীরা এখনো কেউ আটক হয়নি। এটা আমার কাছে খভুব দুঃখজনক। আজ ৬ দিন পেরিয়ে গেলো, কেউ আটক নেই অথচ আসামীরা দিব্বি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানকে কলেজ গেটের সামনে গত ৩০ সেপ্টেম্রব আশিকসহ কয়েকজন মিলে হত্যা চেষ্টায় চালায়। এতে সে প্রানে বেচে গেলেও ক্ষতবিক্ষত হয় পুরো শরীর এবং তার মাথায় দেওয়া হয় বিশটি শেলাই।

এ ঘটনায় তুষার নিজেই বাদী হয়ে গত বুধবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আশিক কে প্রধান করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা হলো, লিজন ,লিমন , শাকিরুল , অনিক , বান্না , সাব্বির ।

মামলার বিবরণীতে তুষার বলেন, আসামীগণ অত্যন্ত, দুর্র্ধষ, দাঙ্গাবাজ, খুনী প্রকৃতির ব্যক্তি। আসামীদের সাথে আমার তার পূর্বের বিরোধ রহিয়াছে। ঘটনার তারিখে ও সময়ে আমি মুজিবনগর সরকারি কলেজের সামনে গেলে আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলক পূর্ব পরিকল্পিত ও দলবদ্ধ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিত আমাকে একা পেয়ে ১নং আসামী গালাগালি করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ১নং আসামী সকল আসামীকে ডাক দিলে অন্যান্য আসামী হাতে রামদা, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে ছুটে এসে আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করিতে শুরু করে। ১নং আসামী অন্য আসামীর নিকট হইতে সরবরাহকৃত রামদা দিয়ে আমার মাথা ল¶্য করিয়া আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার চাঁন্দির উপর লাগিয়া মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা আমার ঘাড়ে পিছন হইতে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার পিছনে লাগিয়া কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা আমার মাথা ল¶্য করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার পিছনে লাগিয়া মারাত্বক কেটে রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামী তার হাতে থাকা ছিপদা দ্বারা আমার বাম পায়ে হাটুর নিচে কোপ মারিয়া হক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে ৫-৭নং আসামীরা তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দ্বারা ফোলা, ছেচা, কালশিরা জখম করে এবং সকল আসামীরা আমাকে উপর্যুক্ত ভাবে কুপাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম কারিয়া দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত আমার মাথায় ২০ (বিশ) টি সেলাই হয় এবং আমার সারা শরীরে কালশিরা ফোলা দাগযুক্ত জখম হয়। সাক্ষীরা ঠেকাইতে আসিলে আসামীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ী মারপিট করে। আমি নিথর হইয়া মাটিতে পড়িয়া থাকিলে আসামীরা চলিয়া যায়। আসামীগের তান্ডবের ফলে এবং তাদের হাতে ধরালো অস্ত্র থাকার কারনে এলাকার লোকজন আসামীদের সামনে আসতে সাহস পায় না। আসামিরা চালে গেলে তারা উদ্ধার করিয়া মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি এখনও হাসপাতালে ভর্তি থাকিয়া চিকিৎসাররত আছি।

এ বিষয়ে মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই মোস্তফা বলেন, আসামী আটকের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আশা করছি সব আসামীদের দ্রুত আটক করা হবে।