প্রকৃতি বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে

প্রকৃতি বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা। সোমবার বিকেলে শহরের খেয়া রেস্তোরাঁয় প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক মত বিনিময় সভায় এ মত প্রকাশ করেন বক্তারা।

কুষ্টিয়ায় সম্মিলিত সামাজিক জোট এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম।

এসময় তিনি বলেন, পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে একটি উপযোগী ইকোসিস্টেম দরকার। একমাত্র মানুষের সচেতনতাই তা সৃষ্টি করতে পারে। সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব। আমরা যশোর সার্কেলে ইউনিয়ন বৃক্ষ কমিটির মাধ্যমে ১ কোটি ফলজ গাছ রোপণ করা হবে। আপনার এলাকা, গ্রাম ইউনিয়নকে সবুজ সমারোহ ভরে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সম্মিলিত ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

ফটোগ্রাফী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও পাখি বিশ্লেষক এস আই সোহেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিবিসিএফএর সভাপতি ড. এস এম ইকবাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক অজয় সুরেকা, বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি ফটিক, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহাবুদ্দীন মিলন, সম্মিলিত সামাজিক জোটের নেতা মুহাইমিনুর রহমান পলল, সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আঃ রাজ্জাক, এনডিএফবিডির পক্ষ থেকে এস এম শামীম রানা, বিডিক্লিনের ইমরুল হক লিংকন, নোঙরের প্রিতম, গ্রীণ ভয়েসের এম আর সুইট প্রমুখ।

মানুষ মানুষের জন্য সংগঠনের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিলন বলেন, সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করতে হবে। বসে থাকার সময় এখন নয়, তাই সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

পাখি বিশ্লেষক এসআই সোহেল বলেন, পাখি বেচে না থাকলে গাছ বাঁচবে না। প্রকৃতির সাথে পাখি ও গাছের সম্পর্ক নিবিড়। তাই আমাদের পুরো সমাজ তথা দেশটাকে বাচিয়ে রাখতে এগুলো বাঁচানো প্রয়োজন। এছাড়াও এই কুষ্টিয়ায় একটি পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে চাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অজয় সুরেকা বলেন, গাছ বা পাখি বাঁচাবো কিভাবে এ চিন্তা অনেক মানুষের নেই। আমরা নাকি নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য এখন নদী সংকটে ভুগছে। নদী দখল করছে অনেকেই। আমরা মনে করি দেশটা আমার৷ সামাজিক জোটের মাধ্যমে গাছ লাগিয়ে আমরা পরিবেশটাই বদলে দিতে পারি।

বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি ফটিক বলেন, ১৬৮ ধরনের পাখি রয়েছে কুষ্টিয়ায়। বিপদাপন্ন ১৩ ধরনের পাখি পদ্মা সংলগ্ন চর এলাকায় দেখা মেকে। এগুলোকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
দশের লাঠি একের বোঝা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. আমানুর আমান বলেন, আমরা সামাজিক জোটে একে অন্যের পরিপূরক। একত্রে কাজ করলে পরিবেশ সংরক্ষণ সহ যেকোনো কল্যানমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে।

মতবিনিময় সভায় জেলার ৪০ টি সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।