
ঢাকের বাদ্য আর আবীর খেলার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে বিসর্জন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে এই পূজার উৎসব শুরু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে বিজয়া দশমীতে বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি হলো দুর্গাপূজার। বিকেল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা ছিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহরের শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, নায়েববাড়ি মন্দির, হরিসভা মন্দির, বকুলতলা পূজা মন্দির, হরিজন বালক পূজা মন্দির, সদর উপজেলার গোভীপুর বায়পাড়া দুর্গা মণ্ডপ, গোভীপুর দাসপাড়া দুর্গা পূজা, বামনপাড়া সর্বজনীন কালী মন্দির, পিরোজপুর দুর্গা মন্দির, পিরোজপুর কালীমাতা দাসপাড়া মন্দির, মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাবুপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কোমরপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মোনাখালী পূজা মণ্ডপ, রতনপুর দাসপাড়া পূজা মণ্ডপ, বল্লভপুর পূজা মণ্ডপ, এবং দারিয়াপুর পূজা মণ্ডপ মেহেরপুর ভৈরব নদে বিসর্জন দেওয়া হয়। এছাড়াও গাংনীতে কাজলা নদে বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় মোট ৩৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪টি, গাংনীতে ১৮টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৭টি মণ্ডপ ছিল।
কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জেলা বাসী ও জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।