বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবী

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে, বিজ্ঞাপন বন্ধে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা এগারোটায় এই র্ভাচুয়াল সভা শুরু হয়। সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ গ্রহন করে। ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও নতুন ধূমপায়ী তৈরি বন্ধে প্রচারণার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন জরুরী বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন তামাক বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও কোম্পানীগুলো বিভিন্ন অপকৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার অব্যাহত রেখেছে। নতুন নতুন ধূমপায়ী তৈরি হলে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। আমাদের হাতে অনেক গুলো টুলস আছে সেগুলো দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রতিরোধে করা যায়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন মেয়র এ্যালাইন্স ফর হেলদি সিটির সদস্য সচিব ও মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট(বাটা), এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, টিসিআরসি ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্দ্যোগে এবং দ্যা ইউনিয়নের সহযোগীতায় এই র্ভাচুয়াল সভায় ডাব্লিউ বিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিথি ছিলেন দ্যা ইউনিয়নের কারীগরি পরার্মশক মাহাবুবুল আলম তাহিন। এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তারিকুল ইসলাম পলাশ, আর্ন্তজাতিক সংস্থা সিটিএফকে প্রোগ্রাম অফিসার আতাউর মাসুদ, নাটাবের প্রকল্প সমন্বয়কারী খলিল উল্লাহ,টিসিআরসি প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারহানা জামান লিজা।

জুম সফটওয়ারের মাধ্যমে সভায় সাফ, ইপসা, রাণী, টিসিআরসি, সিয়াম, পদ্মা, সিয়াম, এসিডি, এইড, ডাস, সাবলম্বি, আশ্রয়, ডিডিপি, টোবাকো কন্ট্রোল লিডারস ইন বাংলাদেশ, বিসিসিপি, ম্যাক বাংলাদেশ, মৌমাছি, আলো, পিডিএস, সপ্নডানা, ওয়াল্ড ক্যান্সার সোসাইটি, সূচিতা, বিএনটিটিপি, বউকস, অগ্রদূতসহ ছাত্র-ছাত্রী ও সেচ্ছাসেবক অংশ গ্রহন করেন।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে তামাক পন্য বিক্রয়ে আলাদা লাইসেন্সিং ব্যবস্থা করা জরুরী। লাইসেন্সিংয়ের আওতায় নিতে পারলেই যত্রতত্র তামাক পন্য বিক্রয় এবং প্রচারণা বন্ধ করা সম্ভব। নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টি না হলেই প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ সম্ভব হবে। বক্তারা বলেন তামাক কোন উপকারী পন্য নয় যে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। দেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ জরুরী।