মুজিবনগরে প্রেমিকা পক্ষের লোকজনের আঘাতে প্রেমিক জখম

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে প্রেমিকা পক্ষের লোকজনের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে প্রেমিক তরিকুল। মেহেরপুরের পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে তরিকুলকে তুলে নিয়ে গিয়ে রামনগর গ্রামের একটি প্রেমিকার বাড়িতে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ তরিকুলের।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান এর সহায়তায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে আহত তরিকুল মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। তরিকুল মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক। তরিকুল পূর্ব বিবাহিত, তার বাড়িতে বউ আছে।

জানা যায়, তরিকুলের সাথে একই উপজেলার রামনগর গ্রামের প্রবাসী আজহারুল ইসলাম এর মেয়ে রেহেনা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তারা দু-জন অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এ ঘটনায় প্রেমিকার দাদা হাইবোতুল্লাহ বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রেমিকা রেহেনা খাতুনের পক্ষের লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে মেহেরপুরে নিয়ে আসে।

মেহেরপুরের পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে রেহেনা ও তরিকুলকে তুলে নিয়ে যায় রেহেনার পরিবারের লোকজন। পরে একটি ঘরে হাত ও চোখ বেধে প্রেমিকার দাদা হাইবোতুল্লাহ সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন বেধড়ক পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তরিকুলকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

রেহেনার দাদা হাইবোতুল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। বাড়ি এসে শুনলাম  কয়েকজন ছেলে তরিকুলকে মেরেছে। তরিকুল আমার নাতনিকে নিয়ে কয়েকদিন আগে পালিয়ে যায়। তার কাছে থাকা গহনা গুলো বিক্রি করে টাকা হজম করে ফেলে। তাই হয়তো বাড়ির কিছু ছেলে তরিকুলকে মারতে পারে।

ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, আমার বাড়ির লেবারের কাছ থেকে শুনলাম যে তরিকুলকে কারা যেন মারধর করছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। প্রেম ঘটিত কারনে তরিকুলকে মারতে পারে বলে মনে হয়।

মেপ্র/এমএফআর