মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পরেও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এদেশে ভোট করে

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু সুব্রত পাল বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে মেহেরপুর জেলা জড়িত।বঙ্গবন্ধুর ডাকে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পর এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এদেশে নির্বাচনে দাড়াই। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর পরিবার আত্মীয় সবাই বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে  নির্বাচন করে। দেশবাসি হতবাক হয়ে পড়ে তাদের আস্ফালন দেখে। এখন থেকে তাদের চিহিৃত করে বয়কট করতে হবে। যুগে যুগে  খুনি মুস্তাকের লোকজন ছিল, আগামীতেও থাকবে।তাদের ব্যাপারে শতর্ক থাকতে হবে।

মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটনের নির্বাচনী জন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহেরপুর পৌর সভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটনের বিজয় নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাচনী কর্মী সভা জেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান সাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত  সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তারিক আল মামুন, শাহরিয়ার কবির, ড. মোঃ জাভিদ ইকবাল বাঙালি, শেখ মোঃ ফাইজুল মবীন, এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, জাকিরুল ইসলাম, জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সদস্য মাহবুব হাসান ডালিম, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিক কামাল পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম মিয়া, গাংনী পৌর যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান সুইট প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবু সুব্রত পাল আরও বলেন, বিশ্ব দরবারে অর্থনৈতিকভাবে  এদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখনে উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল। সুমদ্র ও মহাকাশ বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে উচ্চ আসনে।

বর্তমান সরকারের সময়ে মেহেরপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।শুধু মেহেরপুর জেলায় নয়, উন্নয়ন হয়েছে সারা দেশে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারাবিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করে এখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে। মেহেরপুরে নৌকার প্রার্থী পরাজয় মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার পরাজয়।তাই সবাইকে দিধা দ্বন্দ্ব ভুলে নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটনকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নৌকাকে পরাজিত করা মানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা। এটা বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার প্রতিক। আজকে আপনি যদি নৌকাকে পরাজিত করেন আগামীতে আপনি নৌকা নিয়ে আসলেও আপনীও পরাজিত হবেন।

উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। ফোর লেন রাস্তা, রাজধানীতে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলসহ নানা ধরণের উন্নয়ন হয়েছে। এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশের উন্নয়ন সব কিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্যই।

শেখ হাসিনা জেনে শুনে বুঝেই রিটনকে মনোনীত করেছেন। অতএব তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।

নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতেই আগামীকাল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরপুর আসবেন। তিনি বলেছেন, মেহেরপুর পৌরবাসিকে উন্নত জীবন এনে দিয়েছেন। মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন। এছাড়াও এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ মেহেরপুর শহরের হোটেল আটলান্টাতে পৌছালে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চান্দুসহ যুবলীগের স্থানীয় নেতা কর্মীরা তাদের ফুল দিয়ৈ বরণ করে নেন।