
মুজিবনগরের মত একটি জায়গায় আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি মেহেরপুরের মুজিবনগরের জন্য প্রথমেই একটি উদ্যোগ নিতে চাই। সেটা হলো মুজিবনগর উপজেলায় যত জনবল রয়েছে, তাদের মাথাপিছু একটি করে গাছ রোপণ করা। তখন আমরা বলতে পারবো মুজিবনগরে যত মানুষ রয়েছে, তার অনুযায়ী গাছ রয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন নবাগত মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল সালাম।
তিনি আরো বলেন, মুজিবনগরের প্রতিটি মানুষ যাতে নিজের স্বাক্ষর করতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো। যে কোন ধরনের সেবা নিতে গেলে যারা স্বাক্ষর জানে না তাদের স্বাক্ষর শেখিয়ে তারপর সেবা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করবো। এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ে তিনি বলেন, যে গর্ভবতী মা সিজার অপারেশন এড়িয়ে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান প্রসব করবে, আমাদের কাছে খবর আসা মাত্র প্রশাসন থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
তিনি বলেন, আপনারা মুজিবনগরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে যে সকল মতামত দিয়েছেন, সেগুলো সমাধানসহ উন্নয়নের জন্য যাবতীয় কাজ করতে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এ জন্য আপনাদের সকলকে যার যার স্থান থেকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। কারণ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব কিছুর উন্নয়ন সম্ভব।
মতবিনিময় সভার আগে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডলের সভাপতিত্বে মুজিবনগরের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর তাজ উদ্দিন খান, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জনপ্রতিনিধি আব্দুর রশিদ, নাগরিক পার্টির জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক আরিফ হোসেন, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী খান, মুজিবনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে একাডেমির সুপারভাইজার হাসনাইন করিমের সঞ্চালনায় মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন।