মুজিবনগর হাসপাতালে এসওসিএম নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানীর অভিযোগ

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসওসিএম নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা না দিয়ে অন্যত্র রেফার্ড, রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ ও সঠিক প্রেসক্রিপশন না করার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী অনেকেই।

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১২ বছর ধরে এসওসিএম পদে চাকরী করছেন একই উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের নুরুল ইসলাম। দীর্ঘ সময় চাকরির ফলে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একতরফা রাজত্ব কায়েম করে নিয়েছেন নরুল। অধিকাংশ সময় ছোট খাটো সমস্যার রোগী হলেও রেফার্ড করা হয় সদর হাসপাতালে।

সম্প্রতি মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে তামিম হোসেন (৭) গ্লুকোজ ভেবে ব্লিচিং পাউডার খেয়ে ফেলে। পরে তাকে নিয়ে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া হলে প্রথমে তাকে চিকিৎসা দিতে পারবেনা বলে জানায় নুরুল ইসলাম।

তামিমের মামা জানান, স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার সুপারিশে নাম মাত্র চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করে দেয় সদর হাসপাতালে।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, ডা. নুরুল ইসলাম ১২ বছর ধরে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছে। স্থানীয় মানুষ হওয়ায় নিজের খেয়াল খুশিমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

অভিযুক্ত এসওসিএম নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সব মিথ্যা। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন। তবে অনেক সময় রোগীর চাপ থাকলে কারও সাথে খারাপ আচরণ হয়ে যেতে পারে।

মেডিকেল অফিসার রিয়াদ হোসাইন বাপ্পি বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি ভালো সেবা দেওয়ার জন্য । সিরিয়াস কোন কেস হলে সেটা রেফার্ড করে দিই।
আরএমও মাহামুদুর রহমান বলেন, আমাদের জনবল কম। প্রয়োজীয় উপকরণ নেই। এক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা শতভাগ করা কঠিন। আমি ৬ মাস হলো এসেছি এর মধ্যে নরুল ইসলামের বিষয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনি ভালো সেবা দিয়ে থাকেন। কোন কোন ক্ষেত্রে এটার ব্যত্তয় ঘটতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আমি নুরুল ইসলামের বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।