‘মেলা’ প্রাচীন মানুষ সমাজসভ্যতার সমাবেত ভক্তি,বিনোদন ও বানিজ্য অনুসংগ। বিশ্বের এমন কোন দেশ বা জাতিগোষ্ঠি পাওয়া বিরল যেখানে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতায় মেলা অনুষ্ঠিত হয় না।
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে প্রাচীনকালে টোটেম বিশ্বাসি জনগোষ্ঠি মেলাকে তাঁদের ঐশর্য্য ও ধর্মীয় চেতনার আনুসঙ্গ হিসেবে পালন করেছিল, যে ধারা এখনও আধুনিক বিশ^সমাজে চলে আসছে।
এখনও লক্ষকরলে দেখাযায়, সনাতন, অগ্নি, প্রকৃতি, সমাধি ও মাজার পূজারীদের মধ্যে জাঁকযমকপূর্ণ মেলা গুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দঃআমেরিকার মাচিপিচু,ভারতের কুম্ভমেলা ও রথযাত্রা, পারশ্য সহ মধ্যেএশিয়ার বিভিন্ন দেশে সাধক পুরুষদের সমাধী বা জন্ম-মৃত দিনকে কেন্দ্র করে উল্লেখযোগ্য মেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার অভিধানিক অর্থ খুঁজলে আমরা দেখতেপাই, অনুষ্ঠাটি মূলত ধর্মীয় বা সাধক পুরুষের স্মৃতিতর্পনের উদ্দেশ্যে বার্ষিক সমাবেশ বা আচার আচরণকেই বুঝান হয়। এছাড়াও বিশেষ কোন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে পন্যক্রয় বিক্রয় তৎসহ আমোদ প্রমোদের অস্থায়ী ব্যাবস্থাকেও মেলা বলাহয়।
যেমন বৈশাখী মেলা, বিভিন্ন পূজা বা ওরশ কেন্দ্রিক মেলা ইত্যাদি। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে অস্থায়ী প্রদর্শনী, পন্যদ্রব্যের সাথে পরিচিত ও ক্রয় বিক্রয়ের জন্য মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
যেমন বইমেলা বুক্ষমেলা,শিল্পমেলা,বানিজ্যমেলা প্রভৃতি হাজারো রকমের মেলা। বর্তমান বিশে^র উন্নত বা উন্নয়শীল সব দেশগুলোতেই এই ধরণের মেলা অনুষ্ঠীত হয়ে থাকে। এ গুলো যেমন রাষ্ট্র কেন্দ্রীয় ভাবে যাঁকজমকের সাথে উজ্জাপন করে তেমনি বিশেষ বৈশিষ্ঠমন্ডিত পন্য বা উৎপাদনকারি অঞ্চল বা জেলা সমুহেও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তবে মেলার ধরণ যেমনই হোক না কেন,মাস ব্যপি উজ্জাপিত মেলাগুলোর কিছু বৈশিষ্ঠ থাকে যেমন, স্থানীয় উৎপাদন, কৃষি, হস্ত ও কুঠির শিল্প,শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সামাজকি বিনোদন, ও জাতীয় মুল্যবোধকে তুলেধরা ও নির্মল বিনোদনকে উৎসাহিত করা ইত্যাদি।
এক সময়ে এদেশে কর্মব্যাস্ত কৃষিভিত্তিক সমাজে মানুষের বিনদনের স্থানটুকু ছিল খুবই সীমিত। শহরভিত্তিক বিনোদনের ছিটে ফোটাও গ্রমীন সমাজে প্রভাবিত হত না,ফলে গ্রামীন জনপদে ফসলতোলা শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ে ফসলশুন্য উম্মুক্তমাঠে আয়োজন হত কৃষকের মেলার। এসব মেলার মূল আকর্ষণ ছিল দর্শক ও উপস্থাপকদের সম্মিলিতি প্রচেষ্টর সাথে মানসিক ও শাররীক মেলবন্ধন।
অনুষ্ঠিত হত কৈৗতুক,পালাগান,আলকাপ,কবিগান,কুস্তি, মল্লযুদ্ধ,ঘাড়দৈৗড়,গরুরগাড়ির দৈৗড় প্রতিযোগিতা সহ নানাবিধ আয়োজন যা সাধারণত স্থানীয়ভাবে বা আয়োযকরাই ব্যবস্থা করতেন। তবে এসব মেলাতে মহিলা দর্শনার্থীর উপস্থিত কিছুটা কম হলেও, প্রদর্শনছিল মহিলা বিবর্জীত। এখানে দেশীয় গুড়জাত মিস্টিদ্রব্য,হস্তশিল্পজাত দ্রব্য,গৃহস্থলি ও হাল আবাদে লাগে এমন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ব্যাপক বিক্রী হত। কালের বিবর্তনে এইগুলোই এখন কৃষি ও কৃষকের মেলা হিসেবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে মিডিয়ার পর্দায় দেখা যায়।
সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে বাস্তবতার নিরিখে মেলার বৈশিষ্ঠেও আসতে থাকে ব্যাপক পরিবর্তন। এক সময়ের বড় পরিসরের মেলা গুলোর অন্যতম আকর্ষণ ছিল যাত্রাপালা, সার্কাস, পুতুলনাচ, যাদু প্রদর্শনী প্রভৃতি যেগুলো মূলত দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শীত হত।
এছাড়া সবই ছিল উন্মুক্ত। যেমন বিভিন্ন সমিতি, সরকারী দপ্তর, শিল্পগ্রুপ, বেসরকারী উদ্যেক্তাদের হরেক রকম স্টল। থাকত প্রদর্শনী প্লট ও মিনিয়েচার প্রদর্শনী। যেমন কৃষিবিভাগ পরিচালিত মেলাগুলো সবাইকে বেশি আকৃষ্টকরত।বিশালাকৃতির কৃষি ফসল যেমন থাকত, তেমনি মাঠ পর্যায়ে থাকত আদর্শবাড়ি,খামার মডেল প্রদর্শনী। বন বিভাগ, প্রনীসম্পদ বিভাগ,সড়ক জনপথ,থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সবাই প্রদর্শন মাঠ বা স্টলে অংশ নিত। মেলায় অল্পবয়সিদের বড়আকর্ষণ ছিল তথ্যঅধিদপ্তর পরিচালিত বড় পর্দ্য়া ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী। যা যাত্রাপালা শুরুর আগ পর্যন্ত চলতো।
দেখানো হত, সরকাররে উন্নয়ন প্রকল্প, গ্রামীন জনপদ,চিকিৎসা,যেগাযোগ,প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা, থাকত কাটৃুন ছবি ও দেশবরেণ্য শিল্পিদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সিনেমা। টিকিট কেটে মেলোয় প্রবেশের পরে যাদের হাতে অতিরিক্ত কোন পয়সা থাকত না তাদের জন্য ফ্রিতে এই সব প্রদর্শনী ছিল চরম বিনোদনের বিষয়। এখনকার মত এত ফাস্টফুডের আধিক্য না থাকায় মেলার মধ্যে খাবার স্টল থাকত খুবই কম।
তবে দেশি বিদেশি সংরক্ষিত বা বোতল জাত খাবারের স্টলে বা দেশীয় শুকনা খাবারের দোকানে সবধরণের খাবার পাওয়া যেত। মেলার পরিসর ও স্থায়িত্ব অনুযায়ী একটা মেলায় গৃহস্থলী প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সহ আসবাবপত্র সবই পাওয়া যেত। মেলা শুধু মাত্র গতানুগতিক বিনোদন ও প্রদর্শনের মাধ্যমই নয়, মেলার মাধ্যমেই মানুষের পরিচয় ঘটে দেশ বিদেশের আধুনিক সব জিনিষপত্রের সাথে। কাঁসা,পিতল,মটির তৈজশপত্রের পাশাপাশি মেলার হাত ধরেই সাধারণের ঘরে উঠে আসে চিনামাটি,কাঁচ,এনাডাইস মেলামাইন ও প্লাস্টিক নির্মিত আভিজাত সব পন্যসামগ্রী।
প্রতিটা মেলার মূল কাঠামোটি থাকত মেলার মাঠের ঠিক মাঝখানে। বিদ্যুতহীন পরিবেশে মাঠের বাইরে বড় ডায়নামোতে বিদ্যুৎ উৎপাদিত করে মেলার প্রধার আকর্ষন আলোক ¯তম্ভের রঙিন আলোক সজ্জার ব্যবস্থা হত। পোকা যেমন আলোতে আকৃষ্ট হয়ে পিলসুজের দিকে আসে, তেমনি মানুষজন দুরদুরান্ত থেকে আলোক স্তম্ভ দেখে মেলার দিকে আসত।
অধিকাংশ স্টলেই থাকত হ্যাজাক লাইট। মেলা শুরুহত ঠিক বিকেলের দিকে একটা নির্দ্দিস্ট সময়ে। লাইন ধরে টিকেট নিতে হত, ছাত্রদের জন্য থাকত ডিসকাউন্ট। দূরদুরান্ত থেকে যারা মেলা দেখতে আসতেন তারা সারাদিনের কাজ কামাই করে গরু বা ঘোড়ার ঘাড়িতে, কেউ বা আসতেন হেটে বা সাইকেলে। অধিকাংশ মানুষ শুকনো খাবার সাথে নিতেন। তার পরেও মেলা প্রাঙ্গনের বাইরে বসত আরেক মেলা। যেখানে গরু,ঘোড়া,গাড়ি,সাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা সহ কিছুটা আহার বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকত।
ফলে এদিকে চা নাস্তা,ভাত রুটির দোকান বসত। মেলার এই বানিজ্যিক দিকের বাইরে মেলার প্রায় চারভাগের তিনভাগ স্থান জুড়ে থাকত যাত্রা,সার্কাস,পুতুলনাচ ও যাদু প্রদর্শন। শুধুমাত্র মেলাকে কেন্দ্র করেই উপমহাদেশে বা দেশে এক সময় গড়ে উঠেছিল বিখ্যাত যাত্রা,ও সার্কাসের দল। এসব দলের পরিচালক,অভিনেতা আভিনেত্রীরা পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ের নামকরা কলাকার,পরিচালক হতে পেরেছিলেন। পালাগুলো রচিত হত ঐতিহাসিক,জীবনঘণ,প্রেম-বিরহ,জবনী ভিত্তক,সংগ্রাম ও বীরগাথা কাহিনী নিয়ে। মঞ্চের ঘটনার সাথে দর্শক ও অভিনয়শীল্পিরা একাকার হয়ে যেত। সৃস্টিহত আবেগঘন পরিবেশ যেটা সিনেমা শোতে সম্ভব ছিল না। যাত্রা ও সার্কাসের শুরুতে ও বিরতিতে দেশ বন্ধনা, বীরভজন, ধ্রুপদিনাচ ও গানের অনুষ্ঠান থাকত। যেখানে অনেক সময় জাতীয়পর্যায়ের শিল্পিরাও অংশ নিতেন ।
পুতুলনাচ ও সার্কাসের বেলাতেও একই কথা বলা যায়। পুতুল নাচের কাহিনীর কোন লিখিতরূপ ছিল না। ফুটে উঠত মানুষের দৈনন্দনি জীবনের হাসিকান্না প্রেম বিরহ,বিবাদ ঝগড়া, বোকমী ও চতুরতার এক অনবদ্য চলমান আলেখ্য যা শুধু ছোট ও মেয়েদেরই না বড়দেরও সমান আনন্দ দিত। একই ভাবে যাদু প্রদর্শনী ও সর্কাস ছিল মানুষের কাছে অপার বিশ্ময়। ছেলে মেয়েদের সুউচ্চস্থানে উঠিয়ে বিভিন্ন ধরণের লাফাঝাঁপ কলা কৈশল দেখে মানুষের স্নায়ুবিক চাপ অনেকটাই বেড়েযেত। এই অবস্থা নিরসনের জন্য পশুদের খেলা, ও ভাড় প্রদর্শন বা উদ্বুদ্ধমুলক সংগীত পরিবেশন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হত। ভাড়রা বিচিত্র পোষাক ও মেকাপ নিয়ে আদ্ভুত সব ভাড়ামো করে দর্শকদের প্রচুর আনন্দদিত ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিষেশকরে ১৯৭২ সন থেকে আমাদের সংস্কৃতিক অঙ্গনের স্বকীয়তায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে থাকে এবং ভারতীয় সাংস্কৃতির প্রভাব প্রকট হতে থাকে। মেলাগুলো জমজমাট হয় ঠিকই, কিন্তু যেহাওে খোলামেলা,উদ্যোম ও নগ্ন শাররীক কলাকৌশল প্রদর্শীত হতে থাকে যা যাত্রা সার্কাসকে কলুশিত করে ফেলে।
মেলায় জুয়ার আয়োজন প্রকট হতে থাকে। ক্রমেই শিক্ষিত ভদ্র সমাজ এইসব অপবিনোদন থেকে মুখ ফেরাতে থাকে। মেলাগুলো পরিনত হয় দুবৃত্যায়নের আখড়ায়। মেলা মানেই থাকে যাত্রা, সার্কাস, ও হাউজি। যাত্রা মানেই উদ্যাম নৃত্য মেয়েদেও নগ্নশরীর প্রদর্শনী ্এবং চলতে থাকে প্রদর্শনের আড়ালে শাররীক সম্পর্কের অঘোষিত ব্যবসা। ঝুকিপূর্ণ খেলার পরিবর্তে সার্কসের রিং ভরেওঠে রঙবেরঙের ভাড়দের কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি ও নর্তন কুর্দনে।
মেলার মাঠ দখল করে আসর বসে হাউজি, ফড়, চরকি, ও র্যাফেলড্রর মত জুয়ার আয়োজনে। সারারাত ধরে চলে মেলা নামের শিল্প বানিজ্য প্রদর্শনের আড়ালে অনৈতিক মাফিয়া বনিজ্য। এক সময় প্রদর্শনীগুলো পরিচালিত হত এলাকার সভ্যসমাজ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রশাসনের তত্বাবধায়নে। তাঁরা ঠিক করতেন মেলাতে কোন কোন বিয়য়ে কতটুকু প্রদর্শীত হবে এবং, সমাজে নেতিাবচক প্রভাব পড়ে এমন বিষয়গুলো থাকবে কি থাকবে না? নিষিদ্ধ কাজের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সহজাত মেলার বর্তমান চিত্র ও চাহিদাও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এখন দুনিয়াব্যপি ডিজিটাল বিনোদন মাধ্যম প্রধান হয়ে উঠেছে,। স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ,পিসি এখন বিনোদনের বড় মাধ্যম কিন্তু সবকিছুই ভার্চুয়াল, ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তরুন সমাজ আজ অতৃপ্ত ও অসমাপ্ত,অনেকটা বিকৃত বিনোদনে সার্বক্ষনিক বুদ হয়ে থাকে। এরা বেশি উৎসুক হয় দৃশ্যত ও স্পর্শ অনুভবের বাস্তবতায়। বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিকৃতি যেন প্রকৃতির সমার্থক।
রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য নৃশংশতা ও জৌনতার কাছে পরাভব মানে সমস্ত নৈতিকতা। তাই এখনকার মেলাগুলোর মুল অনুসঙ্গ হয়েছে প্রদর্শনীর আড়ালে বিনোদনের জন্য শরীরপ্রদর্শন বা শাররীক সম্পর্ক। জুয়ার নামে দিনেরপর দিন মানুষের পকেট কেটে দেউলিয়া করা। এবং অন্তরালের মাদকের জমজমাট আসর তারুন্যের স্বপ্নকে ধংশ করছে চিরতরে। সারাদিনের প্রচারণার ফাঁদেপড়ে এই মেলাতে পতঙ্গওে মত আসে বিদেশখাটা পিতার সন্তান,অবস্থাসম্পন্ন,রাজনীতির হাত ধরে গড়ে ওঠা উঠতি তরুণ প্রজন্ম, যোগ দেয় সাধারণ খেটে খাওয় বা বেকার যুবকেরাও। সারারাত ধরে চলে তাদের উন্মত্ততা ও পয়সা উড়ানো। বর্তমানে মেলার আয়জক মন্ডলির প্রধান টার্গেটেও থকে এরাই।
বিনদনের বিষয়টা এখন সম্পূর্নই আপেক্ষিক, কিছুটা ব্যক্তি ও গোষ্ঠিকেন্দ্রিক হয়ে পড়ায়, এবং মেলা থেকে নগদ অর্থ লেন দেনের বিষয়টা প্রকট হওয়ায় মেলার নিয়ন্ত্রন চলেগিয়েছে প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,ও দূর্নিতিবাজ আমলাদের হাতে। ্এদের ছত্রছায়ায় অঘোষিত দেশ বিদেশের মাফিয়াচক্র বখরার বিনিময়ে মেলাকার্যক্রমে যুক্ত হয়ে যায়। এভাবেই ঔতিহ্যবাহী মেলাগুলো তাদের বৈশিষ্ঠ ও স্বকিয়তা হারাতে থাকে।্ ভদ্রসমাজ মুখ ফিরিয়ে নেই মেলাথেকে। নাখেয়ে থাকে যাত্রা,পুতুলনাচ, যাদু সার্কাসের সাথে জড়িত হাজারও পরিবার। অনেকে পেশা পরিবর্তন করে বা বর্তমানের সাথে তালমিলিয়ে নেই শুধু মাত্র বেঁচে থাকার জন্য, একমুঠে খাওয়ার জন্য।
এখনকার মেলাগুলোকে আমরা যতই নৈতিকতার ছত্রাবরণে ঢাকার চেস্টা করি না কেন, নস্ট সামাজিক কাঠামোতে এর পেছনের আদিমতার রশিটা ধরা থাকে উদ্ব্যেগতা,পৃষ্টপোষক ও আয়োজক নামের মাফিয়াদের হাতেই। যাদের উদ্দেশ্য হল অর্থ উপার্জন ও জাতীর ভবিষ্যত যুবসমাজের মেরুদন্ডকে সমূলে ধংশ করে দেওয়া।
লেখক: অবঃ শিক্ষক গাংনী ডিগ্রী কলেজ