মেহেরপুরের নিউ সাত্তার ডেন্টালের ভুল চিকিৎসার খেসারত দিচ্ছে কিশোর

মেহেরপুর শহরের নিউ সাত্তার ডেন্টালের মালিক খোকনের ভুল চিকিৎসার খেসারত দিতে হচ্ছে বাহারইন প্রবাসী আবু সাজ্জাদ রুপম (১৩) নামের এক কিশোরকে।

আবু সাজ্জাদ রুপম মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। বর্তমানে রুপম ও তার পরিবারের লোকজন বাহারাইন প্রবাসী।

এখানে চিকিৎসার পর থেকেই ওই দাঁতটি ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। দাঁতের গোড়ায় পুঁজ সৃষ্টি হয়েছে।মাঝে মাঝে দাঁতে যন্ত্রণা উঠে তার মুখ ফুলে যায়। এছাড়া এখন চোখেও মারাত্বক যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানান রুপমের খালা দিলরুবা খাতুন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রুপমকে সেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া পুরোপুরি সুস্থ্য করতে আরো ২ লাখ টাকা খরচ হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে রুপমের খালা দিলরুবা খাতুন মেহেরপুর নিউ সাত্তার ডেন্টালে আসলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ইট দিয়ে মারতে যায় মো: খোকনের ছেলে সুজন আলী।

এঘটনায় রুপমের খালা দিলরুবা খাতুন বাদী হয়ে মো: খোকন ও তার ছেলে সুজন আলীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

রুপমের খালার অভিযোগ, প্রায় তিন বছর পূর্বে তার বোনের ছেলে আবু সাজ্জাদ রুপমের একটি দাঁত টিউবওয়েলের হাতলে লেগে ফেটে যায়। পরে তাকে নিয়ে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারের কাছে নিউ সাত্তার ডেন্টালে নিয়ে আসলে আঘাঁতপ্রাপ্ত দাঁতটি কেটে দেন ডাক্তার মো: খোকন। তবে দাঁতে ক্যাপ পরাবেন ঢাকার জনৈক ডাক্তার। তিনি ছোট শিশুর দাঁত কেটে দেওয়া মারাত্বকভাবে স্থানীয় ডাক্তারদের উপর চরম ক্ষিপ্রতা দেখান ঢাকা থেকে আসা ওই চিকিৎসক।

ছোট শিশুটির দাঁত কাটা ভুল হয়েছে বলে জানান ওই ডাক্তার। ক্যাপ পরাতে না চাওয়ায় ঢাকার ওই ডাক্তারকে মারতে যান সুজন আলী। পরে চাপাচাপিতে ঢাকার ডাক্তার ক্যাপ পরান। নিউ সাত্তার ডেন্টালের পক্ষে খোকন

১৫ হাজার টাকা চুক্তি ও রোগীর এই ক্যাপ ২০ বছরের গ্যারান্টি দেন খোকন আলী। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে রোগীর দাতে ইনফেকশন শুরু হয়েছে। এখন রোগী এই দাঁতে ইনফেকশন হয়ে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিপুরণসহ অভিযুক্ত মো: খোকন ও তার ছেলে সুজন আলীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানান তিনি।

এব্যাপারে নিউ সাত্তার ডেন্টালের মালিক মো: খোকন বলেন, চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিলনা। সব চিকিৎসায় এভাবে দু একটা রোগীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি বাইরে ছিলাম। অভিযোগপত্রটি হয়তো বকসির কাছে রয়েছে। দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।