মেহেরপুরের পিরোজপুরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে দুজন আহত

মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন পিরোজপুর গ্রামের জয়নাল এর ছেলে রনি(১৬) ও একই গ্রামের নায়েব বিশ্বাস এর ছেলে বাঘা(৩৫)। এর মধ্যে বাঘার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়েছে। বুধবার সকালে পিরোজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, পিরোজপুর গ্রামের সোহেল, বাবলু, সাকিবুর রহমান, জনি, মোতালেব ও হামিদুল।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ও একই গ্রামের তবিরউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে জুয়েলসহ কয়েকজনের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই সুত্র ধরে গত মঙ্গলবার ঈদের পরদিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে রনি নামের একজন তরুনকে মারধর করে আজহার বিশ্বাসের ছেলে লালনসহ কয়েকজন। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার সকালে তবিরউদ্দিনের ছেলে জুয়েল, জিয়া, আজহার বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস, সাধন বিশ্বাস, ছহির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে কালুসহ কয়েকজন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালামের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে আব্দুস সালামের পক্ষে মিনাজ বিশ্বাস এর ছেলে আলাউদ্দিন, জালাল ও তার ভাগ্নে সাইফুলসহ কয়েকজন পাল্টা হামলা চালায়। এতে বাঘা নামের একজনকে কুপিয়ে জখম করে সালামের পক্ষের লোকজন। পরে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস মোবাইল ফোনে জানান, আমি দির্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসছি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। সামনে ইউপি নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে চাই। আমার বিপরীত গ্রুপ এটা মেনে নিতে পারেনা । তাই মাঝে মধ্যেই তাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

পিরোজপুর ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডাবলু জানান, দু-গ্রুপের বিরোধ অনেক দিনের। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৬ জন কে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

মেপ্র/এমএফআর