মেহেরপুরের ২৫ টি সহ এমপিও হলো ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে মেহেরপুরের ২৫ টি সহ এমপিও ভুক্ত হলো দেশের ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গতকাল বুধবার গনভবনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ঘোষণা করেন। নতুন এমপিও’র তালিকায় মেহেরপুরের ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন  মাধ্যমিক, ৩টি মাদ্রসা ও ১টি ভোকেশনাল রয়েছে।
মেহেরপুরের নতুন এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সদর উপজেলার চকশ্যামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মুজিবনগর উপজেলায়, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোনাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গাংনী উপজেলায়, এসকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমএইসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সিএইসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেআরআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গাংনী উপজেলায়, মোহাম্মদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মাদ্রাসার মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায়, আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা, পিরোজপুর দাখিল মাদ্রাসা। গাংনী উপজেলায়, কাজিপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। ভোকেশনালের মধ্যে মুজিব নগর উপজেলার আনন্দবাস মিয়া মুনসুর একাডেমি।
এদিকে এমপিও পেয়ে মেহেরপুরের শিক্ষকদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। বহুল প্রতিক্ষিত এমপিও পেয়ে অনেকের চোখেই আনন্দের অশ্রæ দেখা যায়।
নতুন এমপিও পেয়ে অনুর্ভুক্তির কথা জানতে চাইলে শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব রহমান বলেন, নতুন এমপিও পেয়ে একদিকে যেমন আনন্দিত অন্যদিকে সিনিয়র শাখা না হওয়াতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। ২০০৪ সাল থেকে শ্রমদিয়ে আসছে আমার প্রান প্রিয় শিক্ষকরা। তারপরও আল্লাহর কাছে শুক্রিয়া আদায় করি এবং দোয়া করি যেন সিনিয়র শাখাটিও দ্রæত এমপিও হয়ে যায়।
বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কালাম বলেন, একসাথে দুইটি শাখা এমপিও পেয়ে আমি অনেক খুশি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আমাদের দীর্ঘ দিনের দুঃখ-কষ্ট এবার লাঘব হবে।
কেআরআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে এমপিও নামের সোনার হরিনের মুখ দেখতে পেলাম।
আমঝুপি আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পরিশ্রমের পর এমপিওর ঘোষনা পেলাম। এর চাইতে খুশির খবর আরকি হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনারুল ইসলাম বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠান নতুন করে এমপিও ভুক্ত হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে এমপিও ভুক্তির আওতায় নেওয়া অনেক জরুরী ছিল।
জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তার বলেন, যোগ্য প্রতিষ্ঠান গুলো এমপিও ভুক্তির আওতায় এসেছে। তবে এমপিও ধরে রাখতে হলে শিক্ষার মান ভালো থাকতে হবে। না হলে এমপিও বাতিল হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক