মেহেরপুরে এনজিও কর্মীর দ্রুতগতি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত ৩ জন

মেহেরপুরে এনজিও কর্মীর বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চালনায় প্রাণ হারাতে বসেছে তিনজন। এরমধ্যে একজন স্থানীয় সরবত বিক্রেতা সজল হোসেন(৪০)।

আহত সজল হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

এঘটনায় অপর আহতরা হলেন গ্রামীণ উন্নয়ন কর্ম (গাক) এনজিও কর্মী রাশেদুল ইসলাম (৩২) ও সম্রাট (৩০)।

আহতদের মধ্যে সরবত বিক্রেতা সজল হোসেন ও এনজিও কর্মী রাশেদুল ইসলামকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও সম্রাটকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওই তিনজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপু ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন সুমন বিকালের দিকে তাদের রেফার্ড করেন।

আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর–চুয়াডাঙ্গা সড়ক আমঝুপিতে এই সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে।

মোটরসাইকেল আরোহী এনজিও কর্মী সম্রাট আলী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মোঃ বাদলের ছেলে এবং মোঃ রাশেদুল ইসলাম যশোর জেলার কেশবপুরের মোঃ আব্দুল হক মোল্লার ছেলে। দুই জনই এনজিও সংস্থা গ্রামীণ উন্নয়ন কর্ম (গাক) এর আমঝুপি শাখার মাঠ কর্মী।

স্থানীয়রা জানান, সরবত বিক্রেতা সজল মেহেরপুর থেকে পাখিভ্যানযোগে বরফ নিয়ে বারাদি বাজারে ফিরছিলেন। মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন বারাদী থেকে দ্রুতগতিতে আমঝুপি ফিরছিলেন। ফাঁকা রাস্তায পেয়ে এনজিও কর্মী দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি পাখি ভ্যানের সাথে ধাক্কা মারলে তারা আহত হন।

আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।