মেহেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ জেলায় সেরা

২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বরাবরের মত এবারও গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ ১৩০ টি জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাশ করে ফলাফলে মেহেরপুর জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই বিদ্যালয়টি থেকে ১৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩০ জন জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাশ করেছে।

মেহেরপুর শহরের জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাশসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন পরীর্ক্ষাথী।জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে। বেসরকারি এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফলাফলে জেলার শীর্ষে রয়েছে।

মেহেরপুর সরকারি মাধ্যমিক বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১১ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২০৭ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে৭৮ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন। পাশের শতকরা হার ৯৮.১০ শতাংশ। মেহেরপুর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নিয়েছে ২৫২ জন। এদের মধ্যে ১২৫ জন জিপিএ-৫ নিয়ে মোট পাশ করেছে ২৪৭ জন। ৫ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। শতকরা পাশের হার ৯৮.০২ ভাগ।

গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৯৬ জন। বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ২৩২ জন অংশ নিয়ৈ ১১১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ২২৬ জন। ৬ জন ফেল করেছে বিদ্যালয়টি থেকে। পাশের শতকরা হার ৯৭.৪১ ভাগ। এদিকে একই বিদ্যালয় থেকে ভোকেশনাল শাখায় পরীক্ষার্থী ছিলো ২২৩ জন। পাশ করেছে ২০৮ জন, ফেল করেছে ১৫ জন। শতকরা পাশের হার ৯৩.২৭ ভাগ।

মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ১১০ জন। পাশের শতকরা হার ৯৩.২২ ভাগ। চেংগাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬১ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে। শালদহ এসএআরবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নিয়েছে ৩২ জন। ৫ জন জিপিএ ৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে। বিবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মোট পাশ করেছে ৫২ জন, ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জন অংশ নিয়ে ১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৪৩ জন, এসকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মোট পাশ করেছে ৭৯ জন, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৭৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৭২ জন, মেহেরপুর শহরের কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল থেকে ৩২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৩১ জন। করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নিয়েছে ১২৪ জন। ১৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মোট পাশ করেছে ১২১ জন।

চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৭৮ জন, কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৪৯ জন, বাওট সোলাইমানীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৬৮ জন, বাওট আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২১ জন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ২০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশ করেছে, কুমারীডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মোট পাশ করেছে ৩৫ জন, মটমুড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৫ জন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা দিয়েছে ৬৩ জন। ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মোট পাশ করেছে ৬১ জন, হোগলবাড়িয়া হাজী ভরষ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৫৩ জন, বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে, গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৭২ জন। ১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে।

জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে ৭০ জন, হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৪৩ জন পাশ করেছে।

এবছর মেহেরপুর শহরের বিদ্যালয়গুলো থেকে গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ভাল ফলাফল করেছে বলে জানা গেছে।