মেহেরপুরে জিয়াউর রহমান এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা

মেহেরপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আমঝুপি বাজার সংলগ্ন বিএনপির কার্য্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ মার্চের কালো রাতে বাংলাদেশের মানুষ যখন দিশেহারা এবং নির্দেশনাহীন তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কেউ ছিলেন ভারতে, কেউ গেছেন জেল খানায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিকামী মানুষ নির্দেশনা পেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবার ৩ নভেম্বরের অভ্যুর্থানে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন। ঐ সময় সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যামে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশালের যাতাকল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করেছিলেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং লুটেরা অর্থনীতি চালু করেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়কতিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, বাংলাদেশেও গণতন্ত্রের বিজয় হবে।

মেহেরপুরে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক (সাবেক সংসদ সদস্য, মেহেরপুর-২) আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন ছাতু, ওমর ফারুক লিটন, আব্দুর রউফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ফয়েজ মহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সদস্য মোঃ মকলেসুর রহমান স্বপন, জেলা বিএনপি নেতা মোস্তাক রাজা, ফরিদ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ হুজাইফা ডিকলিয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আব্দুস সালাম, রাজন, সদর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ স্বপন, সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, ইউসুব আলী, খাইরুল ইসলাম, গাংনী পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন উদ্দিন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াসিনসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট প্রধান ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।