মেহেরপুরে ঢিলেঢালা সুরক্ষা ব্যবস্থাই চলছে ঈদ কেনাকাটা

দেশে করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা যখন রেকর্ড ছাড়াচ্ছে ঠিক তখনই খুলে দেওয়া হলো দোকান-পাট শপিংমল। দির্ঘ দেড়মাস বন্ধ রাখার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিমিত আকারে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট, শপিংমল ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু নিতান্তই অনিরাপদ সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ঢিলেঢালা প্রশাসনিক তদারকিতে চলছে বেচাকেনা।

ইতি মধ্যে মেহেরপুরের সব কয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। গুটি কয়েক দোকান মালিক নাম মাত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখলেও অধিকাংশ দোকান-পাট ও শপিংমলে স্বাথ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। বিকাল ৪ টার পর জেলা পুলিশের একটি দল দোকান-পাট বন্ধের অভিযান চালালেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোন প্রশাসনিক কর্মকান্ড দেখা যায়নি।

কসমেটিক, পোশাক, পাদুকা, মোবাইল ইত্যাদি দোকান ও শপিংমলে ক্রেতারা বেশি ভিড় জমাচ্ছে। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর কে সামনে রেখে অনেক জীবনের ঝুকি নিয়েই ক্রেতারা ছুটছে বিপনীবিতান গুলোতে।

মেহেপুর শহরের কোর্টমোড় থেকে শুরু করে কাথুরী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান-পাট ও শপিংমল ঘরে দেখা যায় একই চিত্র। কোন কোন পোশাকের দোকানে বিক্রেতাদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই।

বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু ও হোটেল বাজার ব্যবসা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা মত ব্যবসায়ীক কর্যক্রম চালিয়ে যচ্ছি। কিন্তু দির্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারনে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান বলেন, প্রতিটি মর্কেটেই ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। আমরা হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা কাটার পরামর্শ দিচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মার্কেট গুলোকে বন্ধ করার বিষয়েও তদারতি করছি।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, আমরা মেহেরপুর সদরের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মিটিং করেছি। সরকারি নির্দেশনা মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।