মেহেরপুরে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত রোদের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল মাত্র ২৪ শতাংশ।
আজ শনিবার (১০ মে) মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গেলো কয়েক দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কারণে তীব্র গরমে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কাজে নেমে পড়া শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালকরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন সড়কে রোদের তাপে পিচ গলে যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে।
কৃষক আবুবক্কর বলেন, “সূর্যোদয় হলেই মাঠে থাকা যাচ্ছে না। মাটি গরম হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব সকালে দু-এক ঘণ্টা কাজ করে বাড়ি চলে আসছি।”
শ্রমিক কফিল উদ্দিন জানান, “পেটের দায়ে মাঠে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।”
কৃষক কাবের আলী বলেন, “এখন বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের সময়। প্রচণ্ড রোদে মাঠে কাজ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ১০ মিনিট কাজ করলে ৫ মিনিট ছায়ায় বসতে হচ্ছে।”
ভ্যানচালক হাবিল উদ্দিন বলেন, “খাবারের তাগিদে রাস্তায় বের হচ্ছি। রাস্তায় লোকজন কম, তাই ভাড়া হচ্ছে না।”
ভ্যানচালক আইয়ুব আলী বলেন, “ছাতা গরম হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছি। পিচের রাস্তার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তবে লোকজন রাস্তায় না থাকায় রোজগার কম।”
শুক্রবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন আবহাওয়া আরও ৩-৪ দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।